খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
শেরপুরে কৃষি কর্মকর্তাকে ছাত্রদল নেতার থাপ্পড়
- আপডেট সময় ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
- / ২২ বার পড়া হয়েছে
শেরপুরে কৃষি প্রণোদনার তালিকায় নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের নাম না থাকায় নকলা উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তার উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে একই উপজেলার ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমের বিরুদ্ধে। এর আগে, বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। রাহাত হাসান কাইয়ুম নকলা উপজেলার ধুকুরিয়া গ্রামের সুরুজ মোওলার ছেলে এবং ফজলু একই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে। ঘটনার পর রাতেই নকলা থানায় একটি সাধারণ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ছাত্রদল নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম ও তার সহযোগী ফজলুকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধীদের শীঘ্রই আইনের আওতায় আনতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এদিকে, রাতেই কৃষি কর্মকর্তার অবিলম্বে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে নকলা শহরে মিছিল করে রাহাতের অনুসারীরা। অপরদিকে, ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এবং সুষ্ঠু বিচার দাবিতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতি প্রকাশ করে। মামলার সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর সোয়া দুইটার দিকে রাহাত ও ফজলু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অফিসে প্রবেশ করে জানতে চান, কেন এখনও তাঁদের বদলি হয়নি, কারা কৃষি প্রণোদনা পেয়েছে এবং নেতাদের ভাগ কত। এরপর তারা দাবি করে, খাদ্য ভাগ দিতে হবে তাদের। এ সময় কৃষি কর্মকর্তা জানান, সরকারি প্রণোদনা প্রকৃত কৃষকদের জন্য বরাদ্দ। রাজনৈতিকভাবে কারো ভাগ দেওয়ার সুযোগ নেই। এই কথা শুনে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। কৃষি কর্মকর্তা বিষয়টি দ্রুত স্থানীয় বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলমকে জানান। এর পর রাহাত আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী ফজলুকে নিয়ে অফিসে এসে কর্মকর্তাকে মারধর শুরু করে। ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীর কক্ষে প্রবেশ করে রাহাত আলোচনা করছে। এই সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাহাত থাপ্পড় মারেন। পরে আবারও ওই কর্মকর্তা ওপর হামলা করলে বাইরে থাকা লোকজন তাদের বাধা দেয়। কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাহাত ও ফজলু আমার অফিসে এসে জানতে চান, আমি কেন এখনও বদলি হচ্ছি না, কারা কৃষি প্রণোদনা পেয়েছে এবং নেতাদের ভাগ কত। এরপর তারা বলে, ছাত্রদলের ভাগ তাদের দিতে হবে। আমি জানাই, সরকারি প্রণোদনা প্রকৃত কৃষকদের জন্য, রাজনৈতিকভাবে কারো ভাগ দেওয়ার সুযোগ নেই। এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। আমি বিষয়টি স্থানীয় বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলমকে জানাই। পরে রাহাত আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী ফজলুকে নিয়ে আমাকে মারধর করেন। আমি চিৎকার করলে তারা দ্রুত চলে যায়।’ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাইম হাসান উজ্জ্বল বলেন, প্রথমে আমি ঘটনাটি জানতাম না। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিস্তারিত জানতে পারি। একজন কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রাহাত হাসান কাইয়ুমের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসেম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাত্রদল একটি সুসংগঠিত দল। এখানে কোনো অপরাধীর ঠাঁই নেই। অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ নকলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘রাহাত উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব। কৃষি কর্মকর্তা আমাকে ফোনে বিষয়টি জানান। আমি রাহাতের জেঠাতো ভাই যুবদল নেতা লুটাসকে বিষয়টি বললে তিনি রাহাতকে ফোনে ডেঁপে দেন। তবুও তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।’ তবে অভিযুক্ত ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মিজানুর রহমান ভূঁঞা বলেন, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রিন্ট















