শরীয়তপুরে জাতীয় যুব শক্তির সদ্য ঘোষিত জেলা কমিটির চার সদস্য মাত্র বিশ মিনিটের মধ্যে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে তারা ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে এই ইস্তফার ঘোষণা করেন। ইস্তফা দেওয়া চারজন হলেন, কমিটির সদস্য সচিব আমিন মোহাম্মদ জিতু, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কামাল হোসেন সরল, যুগ্ম সদস্য সচিব সাবরিন ইসলাম এবং সংগঠক রবিউল হাসান। শনিবার রাতেই সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম ও সদস্য সচিব ডা. জাহেদুল ইসলামের অনুমোদনে শরীয়তপুর জেলা শাখার জন্য এক বছরের জন্য ৪১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে কাওসার মৃধাকে আহ্বায়ক এবং আমিন মোহাম্মদ জিতুকে সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত করা হয়। কমিটি ঘোষণা হওয়ার কিছুক্ষণ পরে, সদস্য সচিব আমিন মোহাম্মদ জিতু তার ফেসবুক পেজে লেখেন, আমি, আমিন মোহাম্মদ জিতু, জাতীয় যুব শক্তি এনসিপির সদ্য ঘোষিত জেলা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। তবে কিছু ব্যক্তিগত কারণের জন্য বর্তমানে আমি এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারছি না। সংগঠনের কার্যক্রমে বিঘ্ন এড়ানোর জন্য এবং দায়িত্ব যথাযথভাবে চালিয়ে যেতে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার স্বার্থে আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সংগঠনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবো এবং ভবিষ্যতেও সংগঠনের অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার চেষ্টা করবো। একইভাবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অন্য তিনজনও সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ প্রসঙ্গে আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, আমি আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। গতকাল আমাকে জানানো হয় যে, জাতীয় যুব শক্তির জেলা কমিটিতে আমাকে সদস্য সচিব হিসেবে রাখা হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আমি সেই পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র সময়মতো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। অন্যদিকে, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কামাল হোসেন সরল বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটিতে আমাকে একজন আহত যোদ্ধা হিসেবে মূল্যায়ন না করে ৪১ নম্বরে রাখা হয়েছে। পরে নড়িয়া উপজেলা কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু দায়িত্ব দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এছাড়া ব্যক্তিগত কারণেও আমি এই পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। এ বিষয়ে সদ্য ঘোষিত জেলা কমিটির আহ্বায়ক কাওসার মৃধা বলেন, যারা পদত্যাগ করেছেন, তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তবে এখনও কেউ অফিসিয়ালি পদত্যাগপত্র জমা দেননি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই আমাদের চূড়ান্ত।