দলীয় নিয়মের লঙ্ঘন, অভ্যন্তরীণ বিবাদ, সহিংসতা, রক্তপাত এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন— গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান (হিরন), যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম খোকন, সদস্য মাসুদ পারভেজ কার্জন, গৌরীপুর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব সুজিত কুমার দাস ও যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান পলাশ। তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব স্তরের পদ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হয়। রোববার (৯ নভেম্বর) রাতের বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ওই নির্দেশনাটি দলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, এই নেতারা দলের অভ্যন্তরে সহিংসতা, রক্তপাত ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন। যা বিএনপির শৃঙ্খলা ও নীতির বিরোধী। এখন পর্যন্ত বহিষ্কৃত কোনো নেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরীপুরে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল বহুদিন ধরে চলছিল। এই বহিষ্কার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দলের শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের কঠোর বার্তা পাঠালেন। উল্লেখ্য, মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হিরনের সমর্থকরা মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন। রোববার দুই পক্ষ আলাদা স্থানে সমাবেশ করে। এ সময় মনোনীত ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসাইনের সমর্থকরা হিরনের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে। এতে উভয় পক্ষের ১৫-২০ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় হার্টফেল করে ইঞ্জিনিয়ার ইকবালের সমর্থক ছাত্রদল নেতা তানজিন আহমেদ আবিদ (২৪) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় গৌরীপুরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এদিকে রাতে উভয় পক্ষ আলাদা করে সংবাদ সম্মেলন করে একে অপরকে দোষারোপ করে।