বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ১৯৭১ সালে কিছুই হয়নি, আমরা কিছু করিনি, যা হয়েছে সবই ২৪ তারিখে হয়েছে—এমন বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালেও ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, একাত্তরে হাজারো ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়। লাখো মানুষ পরিবার-পরিজন ছেড়ে পালিয়ে গেছে। মা-বোনদের উপর অমানুষিক অত্যাচার চালিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনাগুলোর কথা আমরা ভুলতে পারি না। নয় মাস যুদ্ধ করেছি, পরিবারের খবর নিতে পারিনি। সেই সময়ের স্মৃতি ভুলানোর চেষ্টা করলে ভুলে যাওয়া যাবে না। তিনি উল্লেখ করেন, এখানকার জন্ম আমাদের, সেটি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আজ একটি সুপরিকল্পিত চক্র, একটি মহল, যারা মহান স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানিদের সঙ্গে যোগসাজোশ করে এই দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল, মেয়েদের খান বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল—তাদের সঙ্গে এ দেশের মানুষ আপোষ করতে পারে না। মির্জা ফখরুল বলেন, এরা এখন দেশটাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে, দখল করে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ভাইদের ধর্মীয় অনুভূতিকে অপব্যবহার করে এসব কাজ করতে চাচ্ছে। আমরা এটা হতে দেব না। আমাদের দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সামনে আনতে হবে। আমরা ৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। তিনি আরও বলেন, এখন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলছে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য। এই ষড়যন্ত্র সফল হলে আমাদের ও দেশের মানুষ হারাবে। আমরা চাই ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করে একটি গ্রহণযোগ্য সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা হিন্দু-মুসলিম সবাই ভাই, বিভেদ সৃষ্টি করতে দেব না। এ সময় কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহ্বায়ক নাঈম জাহাঙ্গীর, ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডারের প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিম, জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।