তারেক রহমানের ভোটার হওয়া নিয়ে যা বলছে নির্বাচন কমিশন
ডিসেম্বর মাসের এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ কবে, জানালো বিইআরসি
বেগম জিয়ার অবস্থা ক্রিটিক্যাল: আজম খান
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট বার্তা প্রেসসচিবের
মানিকগঞ্জে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে দুর্বৃত্তদের আগুন
মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বিচার বিভাগ: শিশির মনির
গ্রেড নিয়ে শিক্ষকদের বড় সুখবর দিলেন উপদেষ্টা
১০ শতাংশ কমেছে মেট্রোরেলের যাত্রী: ডিএমটিসিএল এমডি
সেন্টমার্টিন থেকে আসার পথে স্পিডবোট ডুবে মা-মেয়ের মৃত্যু
শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়া’য় প্রাণহানিতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
কুয়াকাটায় মৌসুমের শুরুতেই শুঁটকি পল্লী নির্মাণে ব্যস্ত শ্রমিকরা
- আপডেট সময় ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
- / ২১ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুঁটকি মৌসুমের আনুষ্ঠানিক সূচনা না হওয়ায় শ্রমিকেরা পল্লী নির্মাণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। শীতের বাজারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে শুঁটকি পল্লীগুলো, যেখানে দিনরাত চলছে গৃহ, চাং ও দোকান নির্মাণের কাজ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রায় চার মাসব্যাপী এই মৌসুমে কোটি টাকার কেমিক্যালমুক্ত শুঁটকি বিক্রি হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রমিকরা পল্লী গঠনের কাজে এতটাই ব্যস্ত যে তারা দম ফেলানোর সময় পাচ্ছেন না। কুয়াকাটার শুঁটকি ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে কেমিক্যালবিহীন ও পরিচ্ছন্নভাবে শুঁটকি উৎপাদন করে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও খ্যাতি অর্জন করেছেন। এ বছরও শীতের শুরুতেই প্রস্তুতি নেওয়া চলছে, আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে শুঁটকি তৈরির ধারা, যা চলবে প্রায় সাড়ে চার মাস। স্থানীয় শ্রমিক মো. বেল্লাল বলছেন, ‘নভেম্বরে শুরু হয় শুঁটকি মৌসুম। তাই এখন দিনরাত শ্রম দিয়ে পল্লী গড়ে তুলছি। মাছ ধরার নৌকাগুলো যখন সমুদ্র থেকে ফিরে আসে, তখনই শুরু হবে শুঁটকি তৈরির ব্যস্ততা।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটি পল্লী গঠনে সাধারণত ১৮ দিন সময় লাগে। এখানে কেমিক্যালরহিত ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে শুঁটকি তৈরি হয়, এর ফলে অনেক শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।’ ব্যবসায়ীরা আশাবাদী, সুপ্রতিবেশী আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত মাছ ধরা পড়লে এ বছর শুঁটকি উৎপাদনে ভালো মৌসুম কাটবে বলে তারা মনে করছেন। মৌসুমের কারণে স্থানীয়দের জন্য তৈরি হয়েছে মৌসুমি কর্মসংস্থানের সুযোগ। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে শুঁটকি প্রস্তুতকারক ইউসুফ মৃধা বলেন, ‘এই পল্লীতে লইট্ট্যা, ফাইস্যা, ছুরি, ছোট চিংড়ি, পোয়া, রূপচাঁদা, লাক্ষাসহ প্রায় ৩০ প্রজাতির মাছ শুঁটকি করা হয়। প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকার শুঁটকি বিক্রি হয়।’ কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক জানান, ‘কুয়াকাটায় শুঁটকি প্রস্তুতকারীদের জন্য পরিকল্পিতভাবে একটি স্থায়ী জায়গা নির্মাণের কাজ চল रहा, যাতে কেউ বিশৃঙ্খলভাবে শুঁটকি শুকাতে না পারে। কাজটি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।’
প্রিন্ট




















