, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

কলাপাড়ায় বৃদ্ধ  স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে এক ঝুপড়ি ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ভোরে মহিপুরের ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারপুর খেয়াঘাট এলাকায় তাদের দেহ পাওয়া যায়। নিহতরা হলেন— সিরাজউদ্দিন খান (৭৫) ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগম (৬৫)। পুলিশ জানিয়েছে, সিরাজউদ্দিন মহিপুর সদর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং আকলিমা বেগমের বাড়ি পেয়ারপুরে। আকলিমা ছিলেন সিরাজউদ্দিনের তৃতীয় স্ত্রীর। তাঁরা নদীর তীরে একটি ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে বসবাস করতেন। জীবিকার জন্য সিরাজউদ্দিন বরইতলা নদীতে খেয়া নৌকা চালাতেন, আর আকলিমা ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। স্থানীয় বাসিন্দা বাদল তালুকদার বলেন, ভোরের ফজর নামাজের সময় সিরাজউদ্দিনকে না দেখে আমি তাদের ঘরে গেলাম। দরজা খোলা দেখে ভেতরে প্রবেশ করে দেখলাম সিরাজউদ্দিন মাটিতে পড়ে আছেন, আর চৌকির ওপর নিথর অবস্থায় আকলিমা। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পুলিশে খবর দেন। পরে মহিপুর থানার পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহত সিরাজউদ্দিনের গলার নিচে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও কালো দাগ দেখা গেছে। আকলিমার শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘরের মাটিতে রক্তের দাগও দেখা গেছে। স্থানীয়দের ধারণা, সম্ভবত সোমবার গভীর রাতে তাদের হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার ফলে পুরো এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে না এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। পটুয়াখালী থেকে সিআইডি টিম ঘটনাস্থলে আসছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

কলাপাড়ায় বৃদ্ধ  স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

আপডেট সময় ০১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে এক ঝুপড়ি ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ভোরে মহিপুরের ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারপুর খেয়াঘাট এলাকায় তাদের দেহ পাওয়া যায়। নিহতরা হলেন— সিরাজউদ্দিন খান (৭৫) ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগম (৬৫)। পুলিশ জানিয়েছে, সিরাজউদ্দিন মহিপুর সদর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং আকলিমা বেগমের বাড়ি পেয়ারপুরে। আকলিমা ছিলেন সিরাজউদ্দিনের তৃতীয় স্ত্রীর। তাঁরা নদীর তীরে একটি ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে বসবাস করতেন। জীবিকার জন্য সিরাজউদ্দিন বরইতলা নদীতে খেয়া নৌকা চালাতেন, আর আকলিমা ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। স্থানীয় বাসিন্দা বাদল তালুকদার বলেন, ভোরের ফজর নামাজের সময় সিরাজউদ্দিনকে না দেখে আমি তাদের ঘরে গেলাম। দরজা খোলা দেখে ভেতরে প্রবেশ করে দেখলাম সিরাজউদ্দিন মাটিতে পড়ে আছেন, আর চৌকির ওপর নিথর অবস্থায় আকলিমা। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পুলিশে খবর দেন। পরে মহিপুর থানার পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহত সিরাজউদ্দিনের গলার নিচে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও কালো দাগ দেখা গেছে। আকলিমার শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘরের মাটিতে রক্তের দাগও দেখা গেছে। স্থানীয়দের ধারণা, সম্ভবত সোমবার গভীর রাতে তাদের হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার ফলে পুরো এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে না এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। পটুয়াখালী থেকে সিআইডি টিম ঘটনাস্থলে আসছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’


প্রিন্ট