ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গভীর রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে এক জামাতা ও তার সাত বছরের মেয়ের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই হত্যার জন্য অভিযোগ আনা হয়েছে নিহতের শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার গভীর রাতে ভুবনকুড়া ইউনিয়নের আমিরখাকুড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন রতন মিয়া (৩৫) এবং তার কন্যা নূরিয়া খাতুন (৭)। রতনের বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় এলাকার খিশাকুড়িতে। তিনি আমির হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, প্রায় এক দশক আগে রতনের বিয়ে হয় হালুয়াঘাটের আমিরখাকুড়া এলাকার দুলাল মিয়ার মেয়ে জুলেখা খাতুনের। বিয়ের পর থেকেই রতন শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। দুই বছর আগে স্ত্রী জুলেখা কর্মসূত্রে দুবাই যান। গত বছর ছুটিতে দেশে ফিরে আবার দুবাই চলে যান তিনি। সম্প্রতি আবার দেশে আসেন। তবে রতন বিদেশ যেতে না চাওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কিছুদিন ধরে ঝগড়া চলছিল। রতনের পরিবারের ভাষ্য, মঙ্গলবার রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জুলেখার বাবা-মা রতন ও তার মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করে। হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম হারুন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল সম্পন্ন করে। মরদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আইনি প্রক্রিয়া প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে।