খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
ভোলায় তিন উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করলেন স্থানীয়রা
- আপডেট সময় ০৯:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
- / ২৬ বার পড়া হয়েছে
ভোলা-বরিশাল সেতুর কাজ নির্ধারিত সময়ে শুরু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষ ভোলায় সফররত তিন উপদেষ্টাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অবরুদ্ধ তিন উপদেষ্টা হলেন সেতু, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ক্ষুব্ধ জনতা সেতু নির্মাণে বিলম্বের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কিছু যুবক উপদেষ্টাদের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন, ফলে তাদের গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় বিশ মিনিট ধরে উপদেষ্টারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আটকা পড়ে থাকেন। পরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং উপদেষ্টারা নিরাপদে সার্কিট হাউসের দিকে রওনা দেন। বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় স্থানীয়রা ভোলা-বরিশাল সেতুর নির্ধারিত সময়সীমা ও অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, পুরোনো ডিজাইনে সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়। নতুন ডিজাইনের কাজ আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে শেষ হতে পারে, এরপর মূল কাজ শুরু হবে। তবে তিনি নির্দিষ্ট কোনো তারিখ উল্লেখ করেননি। এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে সভা শেষে স্থানীয়রা স্লোগান দিয়ে উপদেষ্টাদের চারপাশে জড়ো হন এবং পদত্যাগের দাবি করেন। এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তরিকুল ইসলাম কায়েদ বলেন, উপদেষ্টা ফাওজুল কবির আগে বারবার বলেছেন, ডিসেম্বরে দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে। কিন্তু আজ তিনি বলছেন আরও ছয় মাস লাগবে। তিনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন। তাই তার পদত্যাগের দাবি করছি। ভোলা সদর মডেল থানার ওসি আবু সাহাদাৎ মো. হাসনাইন পারভেজ জানান, ভোলা-বরিশাল সেতু এবং ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে ক্ষুব্ধ জনতা গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েছিল। পরে পুলিশ ও স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং উপদেষ্টারা স্থান ত্যাগ করেন।
প্রিন্ট















