খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
কুয়াকাটায় জেলের জালে ৮০ কেজির পাখি মাছ
- আপডেট সময় ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৬ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলে জসিম মোল্লার জালে ধরা পড়েছে এক বিশাল ৮০ কেজি ওজনের ফ্লাইং ফিশ বা পাখি মাছ। স্থানীয়রা একে গোলপাতা মাছ হিসেবেও জানে। রোববার (১৬ নভেম্বর) ভোরের সময় মাছটি মাছের বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হলে, উৎসুক জনতা এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমায়। মাছের আড়তদার ও জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাছটির পিঠে বড় পাখনা থাকায় এটি স্থানীয়ভাবে গোলপাতা বা পাখি মাছ নামে পরিচিত। এই মাছটি মহাসাগরের সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রাণী। ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। এর পৃষ্ঠীয় পাখনাটি দেখতে নৌকার পাল বা পাল মতো হওয়ায় একে সেইল ফিশ বা পাল ফিশ বলা হয়। মাছটি শিকারকারীর কাছে এসে রঙ পরিবর্তন করতে পারে। স্থানীয় মাছ বিক্রেতা নাসির মুন্সী জানান, উপকূলের এলাকায় এই ধরনের মাছের চাহিদা কম থাকায় দামও কম। মুনাফার আশায় রফিক পাটোয়ারী, মেসার্স সানজিদা ফিসের একজন ব্যবসায়ী, এই মাছটি ৩১২ টাকা প্রতি কেজি দরে ২৫ হাজার টাকায় কিনেছেন। জেলে জসিম মোল্লা বলেন, জাল টানতে গিয়ে অন্যান্য মাছের সঙ্গে এই বিরল পাখি মাছটি উঠে আসে। তবে চাহিদা কম থাকায় দামও বেশি পাওয়া যায়নি। মাছ কিনে নেওয়া ব্যবসায়ী রফিক বলেন, পাখি মাছ সাধারণত খুব বেশি দেখা যায় না। এই মাছগুলো বিদেশেও রপ্তানি হয়। তবে দেশের নামিদামি রেস্টুরেন্টগুলোতে এর চাহিদা রয়েছে। মাছটির কেটে ককসিট করে ঢাকায় পাঠানো হবে। আশা করি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব। কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, পাখি মাছ গভীর সমুদ্রে থাকে। এটি মূলত গভীর সমুদ্রের মাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম সেইল ফিশ (Sail-Fish)। তবে এই অঞ্চলে এটি পাখি মাছ হিসেবেই পরিচিত। খেতে খুবই সুস্বাদু। বিদেশে এর চাহিদা থাকায় রপ্তানি করা হয়। এছাড়া, এই মাছের পুষ্টিগুণ মানবশরীরের জন্য উপকারী।
প্রিন্ট















