বাড়ি থেকে বরিশাল কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন এক কলেজছাত্রী, কিন্তু আর ফিরে আসেননি। তার পরিবার নিখোঁজের ঘটনা রহস্যজনক বলে দাবি করে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। সাত দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও ওই ছাত্রীর সন্ধান পায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তদন্তকারী পুলিশের একজন কর্মকর্তা হোয়াটসঅ্যাপে একটি ছোট বার্তা পান। সেই বার্তায় লেখা ছিল, “আমাকে খুঁজবেন না, আমি আমার প্রেমিকের সঙ্গে আছি এবং ভালো আছি।” নিখোঁজ কলেজছাত্রী পূজা দাস (২১) বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের মধ্য শিহিপাশা গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র দাসের মেয়ে। তিনি বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী। কলেজছাত্রীর ভাই রিমন দাস থানায় একটি জিডি করেন। তিনি তাঁর জিডিতে উল্লেখ করেন, ৯ নভেম্বর সকাল ৭টা ১০ মিনিটে বরিশাল কলেজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন পূজা। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিবারের সকল আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অনুসন্ধান চালানোর পরেও তার সন্ধান মেলেনি। এই ঘটনার পর কলেজছাত্রীর ভাই রিমন দাস সাংবাদিক পরিচয়ে ফোন করে ঘটনার এড়ানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, আমি থানায় জিডি করেছি, পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। তদন্তকারী এসআই মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, কলেজছাত্রী প্রাপ্তবয়স্ক, তাই এ বিষয়ে সন্দেহের কিছু আছে। জিডির পরই পুলিশের তৎপরতা শুরু হয় এবং আমার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। সেখানে লেখা ছিল, “আমাকে খুঁজবেন না, আমি আমার প্রেমিকের সঙ্গে আছি এবং ভালো আছি।” তবে এরপর থেকে ওই নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ওই মেসেজটি নিখোঁজ ছাত্রীর পাঠিয়েছে কি না, অন্য কেউ পাঠিয়েছে কি না, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তদন্ত এখনও চলমান। আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. অলিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে পরিবার সাধারণ ডায়েরি করেছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও ক্লু দিতে পারেনি। এছাড়া, নম্বর বন্ধ থাকায় ট্র্যাকিং করা সম্ভব হচ্ছে না।