গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচির কারণে বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারাদিন পরিস্থিতি সাধারণ ছিল। সংঘর্ষ এড়াতে সকাল থেকেই জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশের, সেনাবাহিনীর, বিজিবি ও র্যাবের টহল জোরদার করা হয়। জেলা কারাগারেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হয়। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। দোকানপাট খোলা থাকলেও অন্যান্য দিনের তুলনায় সড়কে মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা যায়। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তিলছড়া বাজার এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে প্রায় বিশ মিনিট ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্র লীগের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ পৌঁছানোর আগে তারা দ্রুত সটকে পড়ে। একইভাবে সকালে সদর উপজেলার ডুমদিয়া এলাকায় ছাত্র লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু খানের নেতৃত্বে কয়েকজন মহাসড়কে যানবাহন আটকানোর চেষ্টা করে। তবে সেখানে তারা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বিকেল তিনটার দিকে আবারও একই স্থানে আগুন জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে সড়ক অবরোধের চেষ্টা চালানো হয়। এই ঘটনাগুলোর ভিডিও পরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। কাশিয়ানী থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, “কয়েকজন রাস্তায় উঠে অবরোধের চেষ্টা করেছিল। পুলিশের উপস্থিতি বুঝে তারা পালিয়ে যায়। তারা অবরোধের সফলতা অর্জন করতে পারেনি।” এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।