, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

সংস্কার দিয়ে লুটপাটতন্ত্র ভেঙে ফেলতে হবে: দেবপ্রিয়

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

সংস্কার মাধ্যমে লুটপাটতন্ত্রের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, সংস্কার কার্যক্রমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বেশ উৎসাহিত ছিলেন; তবে তার উপদেষ্টামণ্ডলী ও আমলাদের মধ্যে উদ্বেগের সুর দেখা গেছে। সকল সংস্কার সম্পন্ন করতে হলে নাগরিক সমাজকে চাপ সৃষ্টি করে নির্বাচনের ইশতেহারে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বরিশালের নাগরিক প্লাটফর্মের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক আঞ্চলিক নির্বাচন বিষয়ক পরামর্শ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর এক অভিজাত হোটেলের মিলনায়তনে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দেবপ্রিয় উল্লেখ করেন, বর্তমানে দেশ এক সংকটকালীন পরিস্থিতি পার করছে। বর্তমানে দেশবাসী সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং মর্যাদাপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষে। নির্বাচনের ব্যাপারে সাধারণের মাঝে উদ্বেগ রয়েছে। এই উদ্বেগ কাটাতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি একাত্তর ও চব্বিশের আন্দোলনকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। আমি বলতে চাই, যারা এ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, তারা আমাদের সাথে নেই। বরং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ আর চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান একে অন্যের পরিপূরক। প্রাক-নির্বাচনি এই আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন। এতে অনলাইন ভোটিংসহ নানা মাধ্যমে তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসে। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নিরাপত্তাহীনতা, মৌলিক সংস্কার ও সুশাসনের জন্য সরকারকে আরও কঠোর পরিশ্রমের দাবি রয়েছে। দেশব্যাপী একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা প্রকাশ করে সিপিডি। দেশের সাতটি বিভাগীয় শহর ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা সদরেও এই নাগরিক প্লাটফর্মের পরামর্শ সভা চলছে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

সংস্কার দিয়ে লুটপাটতন্ত্র ভেঙে ফেলতে হবে: দেবপ্রিয়

আপডেট সময় ০৬:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

সংস্কার মাধ্যমে লুটপাটতন্ত্রের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, সংস্কার কার্যক্রমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বেশ উৎসাহিত ছিলেন; তবে তার উপদেষ্টামণ্ডলী ও আমলাদের মধ্যে উদ্বেগের সুর দেখা গেছে। সকল সংস্কার সম্পন্ন করতে হলে নাগরিক সমাজকে চাপ সৃষ্টি করে নির্বাচনের ইশতেহারে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বরিশালের নাগরিক প্লাটফর্মের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক আঞ্চলিক নির্বাচন বিষয়ক পরামর্শ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর এক অভিজাত হোটেলের মিলনায়তনে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দেবপ্রিয় উল্লেখ করেন, বর্তমানে দেশ এক সংকটকালীন পরিস্থিতি পার করছে। বর্তমানে দেশবাসী সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং মর্যাদাপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষে। নির্বাচনের ব্যাপারে সাধারণের মাঝে উদ্বেগ রয়েছে। এই উদ্বেগ কাটাতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি একাত্তর ও চব্বিশের আন্দোলনকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। আমি বলতে চাই, যারা এ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, তারা আমাদের সাথে নেই। বরং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ আর চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান একে অন্যের পরিপূরক। প্রাক-নির্বাচনি এই আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন। এতে অনলাইন ভোটিংসহ নানা মাধ্যমে তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসে। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নিরাপত্তাহীনতা, মৌলিক সংস্কার ও সুশাসনের জন্য সরকারকে আরও কঠোর পরিশ্রমের দাবি রয়েছে। দেশব্যাপী একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা প্রকাশ করে সিপিডি। দেশের সাতটি বিভাগীয় শহর ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা সদরেও এই নাগরিক প্লাটফর্মের পরামর্শ সভা চলছে।


প্রিন্ট