, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ভূমধ্যসাগরে ট্রলারডুবি: গোপালগঞ্জের ২ যুবকের মৃত্যু, নিখোঁজ ৬

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার চেষ্টায় ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দুই যুবকের প্রাণ হারিয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আরও ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে একই গ্রামের। নিহতদের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই ঘটনায় মুকসুদপুরের ননীক্ষির ইউনিয়নের পশ্চিম লওখন্ডা গ্রামের পুরো এলাকায় শোকের মাতম চলছে। নিহতরা হলেন—পশ্চিম লওখন্ডার জাহিদ শেখের ছেলে আনিস শেখ এবং একই এলাকার আকোব আলীর ছেলে এনামুল শেখ। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন—আউলাদ শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ, হায়দার শেখের ছেলে ধলা শেখ, ইকরাম মীনার ছেলে দুলাল মীনা, হায়দার মীনার ছেলে আশিক মীনা, এবং খালেক মোল্যার ছেলে সোহেল মোল্যা—all are from পশ্চিম লওখন্ডা। এছাড়াও নিখোঁজ একজন হলেন—মুকসুদপুরের কাশালিয়া ইউনিয়নের গুনহর গ্রামের হাফিজ মীনার ছেলে নিয়াজ মীনা। এনামুল শেখের পিতা আকোব আলী শেখ জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে লিবিয়ার আল খুমস উপকূল এলাকা থেকে তার ছেলে ও কয়েকজন অন্যরা একটি নৌকায় করে ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মাঝপথে কোস্টগার্ড তাদের ধাওয়া করলে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে তার ছেলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। আরও তিনি জানিয়েছেন, এক মাস আগে মাদারীপুরের দালাল মাধ্যমে ২১ লাখ টাকার বিনিময়ে তার ছেলেকে লিবিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। এক মাস পরে তাকে ‘গেম’ দেওয়া হয়। এই টাকা দিয়ে তার ছেলে লাশ হয়ে ফিরল। সরকারের কাছে অনুরোধ, আমার ছেলের লাশ দেশে আনতে সাহায্য করুন। বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে পশ্চিম লওখন্ডা গ্রামে দেখা যায় শোকের পরিবেশ। উল্লেখ্য, ১৪ নভেম্বর রাতে লিবিয়ার আল খুমস এলাকায় ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে চার বাংলাদেশির মৃত্যু ঘটে। অবৈধ পথে ইউরোপ যাওয়ার এই প্রবণতা অনেক তরুণের জীবন নিচ্ছে। জেলা প্রশাসক আরিফ-উজ-জামান বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে জানা গেছে। অফিসিয়াল কাগজপত্র পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ভূমধ্যসাগরে ট্রলারডুবি: গোপালগঞ্জের ২ যুবকের মৃত্যু, নিখোঁজ ৬

আপডেট সময় ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার চেষ্টায় ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দুই যুবকের প্রাণ হারিয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আরও ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে একই গ্রামের। নিহতদের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই ঘটনায় মুকসুদপুরের ননীক্ষির ইউনিয়নের পশ্চিম লওখন্ডা গ্রামের পুরো এলাকায় শোকের মাতম চলছে। নিহতরা হলেন—পশ্চিম লওখন্ডার জাহিদ শেখের ছেলে আনিস শেখ এবং একই এলাকার আকোব আলীর ছেলে এনামুল শেখ। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন—আউলাদ শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ, হায়দার শেখের ছেলে ধলা শেখ, ইকরাম মীনার ছেলে দুলাল মীনা, হায়দার মীনার ছেলে আশিক মীনা, এবং খালেক মোল্যার ছেলে সোহেল মোল্যা—all are from পশ্চিম লওখন্ডা। এছাড়াও নিখোঁজ একজন হলেন—মুকসুদপুরের কাশালিয়া ইউনিয়নের গুনহর গ্রামের হাফিজ মীনার ছেলে নিয়াজ মীনা। এনামুল শেখের পিতা আকোব আলী শেখ জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে লিবিয়ার আল খুমস উপকূল এলাকা থেকে তার ছেলে ও কয়েকজন অন্যরা একটি নৌকায় করে ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মাঝপথে কোস্টগার্ড তাদের ধাওয়া করলে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে তার ছেলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। আরও তিনি জানিয়েছেন, এক মাস আগে মাদারীপুরের দালাল মাধ্যমে ২১ লাখ টাকার বিনিময়ে তার ছেলেকে লিবিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। এক মাস পরে তাকে ‘গেম’ দেওয়া হয়। এই টাকা দিয়ে তার ছেলে লাশ হয়ে ফিরল। সরকারের কাছে অনুরোধ, আমার ছেলের লাশ দেশে আনতে সাহায্য করুন। বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে পশ্চিম লওখন্ডা গ্রামে দেখা যায় শোকের পরিবেশ। উল্লেখ্য, ১৪ নভেম্বর রাতে লিবিয়ার আল খুমস এলাকায় ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে চার বাংলাদেশির মৃত্যু ঘটে। অবৈধ পথে ইউরোপ যাওয়ার এই প্রবণতা অনেক তরুণের জীবন নিচ্ছে। জেলা প্রশাসক আরিফ-উজ-জামান বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে জানা গেছে। অফিসিয়াল কাগজপত্র পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট