সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে খনিজ বালি ও পাথর চুরি, লুটপাটের ঘটনা এবং গোপন যোগসাজশের পাশাপাশি হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষে এ নোটিশ প্রদান করা হয়। আদালত অভিযুক্তদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নোটিশ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মো. ইলিয়াস মিয়া, তাহিরপুরের ইউএনও মেহেদী হাসান মানিক, বিশ্বম্ভরপুরের ইউএনও মেরিনা দেবনাথ, এসিল্যান্ড (ভূমি) সাহরুখ আলম শান্তনুসহ আরও কয়েকজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। মামলার বাদী আদালতকে জানিয়েছেন, পূর্বে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জাদুকাটা নদীর মহাল-১ ও ২ এবং মহালের বাইরে নদীর পাড় কাটা, সেইভ মেশিনে খনিজ বালি ও পাথর উত্তোলন, লুটপাট ও চুরির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ করে গোপনে সহযোগিতা করছেন। পাশাপাশি এসব অনিয়ম আড়াল করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় থানার পুলিশের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে ভুয়ো অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে এই কর্মকাণ্ড চলমান থাকলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে তাহিরপুরের ইউএনও মেহেদী হাসান মানিক বলেন, আদালতের আদেশের কপি এখনও পাইনি।