শরীয়তপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শেখ মোহাম্মদ মোহসীন ওরফে স্বপনের বিরুদ্ধে পৈতৃক জমি দখলের চেষ্টায় এবং মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছেন আক্কাস সরদার নামে এক ব্যক্তি। ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, জমির কোন দলিল না থাকায় স্বপন তাদের জমি নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য চাপ দিচ্ছিল। রাজি না হওয়ায় তিনি আক্কাস সরদারের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা করেন। রোববার দুপুরে শরীয়তপুর পৌরসভার ধানুকা এলাকার বতসবাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ উত্থাপন করেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার হুগলী মৌজার ২১ শতাংশ পৈতৃক জমির মালিক আক্কাস সরদার। দীর্ঘদিন ধরে স্বপন ওই জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। সম্প্রতি জমির রেজিস্ট্রেশন না দেওয়ায় ১১ নভেম্বর তিনি আক্কাস সরদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে আছেন এবং বিভিন্ন আদালতে লিখিত আবেদন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আক্কাস সরদারের বোন ফরিদা বেগম বলেন, তাদের বাবা জীবিত থাকাকালে জমিটি স্বপনের বাবাকে চাষাবাদের জন্য দিয়েছিলেন। এখন স্বপন জোরপূর্বক জমি দখল করতে চাইছেন এবং রেজিস্ট্রেশন করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। পরিবার রাজি না হওয়ায় তিনি মিথ্যা মামলা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। আক্কাস সরদারের মেয়ে আকলিমা আক্তার পুতুল বলেন, জমির বিরোধ থাকলেও মামলা না করে স্বপন তার বাবার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনছেন এবং হয়রানি করছেন। মিথ্যা মামলার কারণে তার বাবা বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয় একজন বাসিন্দা আব্বাস বাছার বলেন, জমিটি আক্কাস সরদারের পৈতৃক সম্পত্তি বলেই সবাই জানে। স্বপনের কাছে কোন নথি নেই, তবুও তিনি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন—এই অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা সঠিক তদন্তের দাবি জানান। অভিযুক্ত বেঞ্চ সহকারী শেখ মোহাম্মদ মোহসীন ওরফে স্বপন বলেন, আক্কাস সরদারের বাবা মৌখিকভাবে জমিটি তার বাবার কাছে বিক্রি করেছিলেন। ১৯৯২ সাল থেকে তারা জমির দখল ও খাজনা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে জমিতে গেলে আক্কাস সরদার তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং হুমকি দেন। নিরুপায় হয়ে তিনি মামলা করেছেন বলে দাবি করেন স্বপন। তিনি আরো বলেন, যদি আক্কাস সরদার ও তার বোনেরা বলেন জমি বিক্রি হয়নি, তাহলে তিনি মামলা প্রত্যাহার করবেন।