খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
গাইবান্ধায় কারাগারে আ.লীগ নেতার মৃত্যু
- আপডেট সময় ০৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
- / ১২ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি ও রাজাহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ তারিক রিফাত (৫৫) গাইবান্ধা জেলা কারাগারে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুরো জেলায় ব্যাপক শোরগোল ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। নিহত তারিক রিফাত রাজাহার ইউনিয়নের প্রভুরামপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিএসসির সন্তান। তিনি ২০১৭ সালে উপজেলা পর্যায়ে ‘শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক’ এবং ২০২৪ সালে ‘শ্রেষ্ঠ মাছ চাষী’ হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। এছাড়া, তিনি ২০২১ সালে রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কারা সূত্র জানিয়েছে, রোববার বিকেলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালে পাঠায়, তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। ইসিজি রিপোর্টে দেখা যায়, তিনি জীবিত ছিলেন না। তবে, তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবার অভিযোগ করেছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে একাধিক মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছিল, যার ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের দাবি, তিনি হার্টে রিং পরানো রোগী হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। অন্যদিকে, কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’। গাইবান্ধা জেলা কারাগারের জেলখানার প্রধান আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি হিসেবে ১৭ অক্টোবর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বগুড়া ও রংপুরে এক মাসের বেশি সময় ধরে পুলিশি জিম্মায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। রোববার দুপুরে আদালতে জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়, এর কয়েক ঘণ্টা পরই তার মৃত্যু ঘটে।
প্রিন্ট















