, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

কেন্দুয়ায় সরকারি গাছ কাটায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় অনুমতি ছাড়া রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কাটা একটি ঘটনায় ঠিকাদারের প্রতিনিধি রেজাউল হাসান ভূইয়া সুমনকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাসকা ইউনিয়নের দিগলী–আলমপুর সড়কের নির্মাণকাজের অজুহাতে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর এলাকার বিভিন্ন প্রজাতির ৩১টি গাছ কর্তন করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ২৩ নভেম্বর মাসকা ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মামলা করেন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, মামলাটির তদন্ত চলমান রয়েছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। গাছ কাটার ঘটনা তদন্তে উপজেলা প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করেছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাঈম ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের এই কমিটি ইতিমধ্যে গাছ কাটা বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছে। এদিকে, মামলা দায়েরের পরও ২৪ নভেম্বর একই সড়ক থেকে আরও তিনটি গাছ অবৈধভাবে কাটা হয়। এসব গাছ প্রশাসন জব্দ করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গাছ কাটার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নজরদারির ঘাটতি রয়েছে। এলজিইডির প্রকৌশলী আল আমিন সরকার মাসকা ইউনিয়নের প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করেন, তার ভূমিকা নিয়েও অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি আগে জানতেন না। কিছু স্থানীয় ব্যক্তি জানান, গাছ কাটার সময় বাধা দিলে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক ওয়ার্ডের একজন জনপ্রতিনিধি গাছ কাটার বিরোধিতা করায় তাকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এর আগে, রাতের বেলায় কাটা ৩১টি গাছ অন্যত্র নেওয়ার চেষ্টায় স্থানীয়রা বাধা দিলে তারা তা আটকায় এবং পরে প্রশাসন জব্দ করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, মামলা হওয়ার পর তদন্ত চলমান রয়েছে। যদি কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

কেন্দুয়ায় সরকারি গাছ কাটায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় ০৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় অনুমতি ছাড়া রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কাটা একটি ঘটনায় ঠিকাদারের প্রতিনিধি রেজাউল হাসান ভূইয়া সুমনকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাসকা ইউনিয়নের দিগলী–আলমপুর সড়কের নির্মাণকাজের অজুহাতে ১৭ ও ১৮ নভেম্বর এলাকার বিভিন্ন প্রজাতির ৩১টি গাছ কর্তন করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ২৩ নভেম্বর মাসকা ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মামলা করেন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, মামলাটির তদন্ত চলমান রয়েছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। গাছ কাটার ঘটনা তদন্তে উপজেলা প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করেছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাঈম ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের এই কমিটি ইতিমধ্যে গাছ কাটা বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছে। এদিকে, মামলা দায়েরের পরও ২৪ নভেম্বর একই সড়ক থেকে আরও তিনটি গাছ অবৈধভাবে কাটা হয়। এসব গাছ প্রশাসন জব্দ করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গাছ কাটার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নজরদারির ঘাটতি রয়েছে। এলজিইডির প্রকৌশলী আল আমিন সরকার মাসকা ইউনিয়নের প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করেন, তার ভূমিকা নিয়েও অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি আগে জানতেন না। কিছু স্থানীয় ব্যক্তি জানান, গাছ কাটার সময় বাধা দিলে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক ওয়ার্ডের একজন জনপ্রতিনিধি গাছ কাটার বিরোধিতা করায় তাকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এর আগে, রাতের বেলায় কাটা ৩১টি গাছ অন্যত্র নেওয়ার চেষ্টায় স্থানীয়রা বাধা দিলে তারা তা আটকায় এবং পরে প্রশাসন জব্দ করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, মামলা হওয়ার পর তদন্ত চলমান রয়েছে। যদি কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট