টাঙ্গাইলের পুলিশ টেলিযোগাযোগ (বেতার) শাখার এএসআই শফিকুল ইসলাম বিরুদ্ধে ভুয়া টিএ বিল দাখিল করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশ টিভির হাতে পাওয়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও সিডিআর রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শফিকুল ইসলাম এলাকার বাইরে না গিয়েও বিভিন্ন থানায় ও ঢাকা শহরে গিয়ে ভুয়া বিল দাখিল করে অর্থ উত্তোলন করেছেন। অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে টাঙ্গাইল পুলিশ টেলিযোগাযোগ বেইজে যোগদানের পর থেকে এএসআই শফিকুল ইসলাম নিয়মিতভাবে না গিয়ে, ভুয়া টিএ বিল দাখিল করে আসছেন। বিশেষ করে একদিনে একাধিক থানায় গিয়েছেন বলে দেখানো হলেও তার সিডিআর তথ্য পুলিশ লাইনে অবস্থান করায় ধরা পড়ে। দেশ টিভির হাতে থাকা সিসি ক্যামেরার নম্বর ২২/২৪ অনুযায়ী, একইদিনে শফিকুল ইসলাম টাঙ্গাইল পুলিশ লাইন থেকে দেলদুআর, মির্জাপুর, সখীপুর, বাসাইল, নাগরপুর ও যমুনাসেতু পূর্ব থানায় গিয়েছেন বলে জানা যায়, কিন্তু তার সিডিআর রিপোর্টে দেখা গেছে তিনি পুলিশ লাইনে রয়েছেন। অন্য একটি সিসি ক্যামেরার সিরিয়াল নম্বর ১১৯৫৫২২ অনুযায়ী, একইভাবে ধনবাড়ী, মধুপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, গোপালপুর, ঘাটাইল ও যমুনাসেতু পূর্ব থানায় ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে। আরও অভিযোগ রয়েছে, শফিকুল ইসলাম ও তার অধীনস্ত বেতার কর্মীরা দায়িত্ব পালন না করে বাড়ি থেকে কাজ করেন এবং ওয়াকিটকি সেট ইস্যু করতে তার কাছ থেকে অর্থ দিতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন, বেতার অফিসে না এসে শফিকুলের মাধ্যমে টাকা দিয়ে দায়িত্ব পরিচালনা করা হয়। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে এএসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং আমি কোনো ভুয়া টিএ বিল দাখিল করিনি।” তিনি আরও বলেন, “বিষয়টি জানার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।” পুলিশ বেতার টাঙ্গাইল বেইজের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাদল সরকার বলেন, “আমি জেলায় নতুন যোগদান করেছি এবং টিএ বিল সংক্রান্ত বিষয়টি আমার জানা নেই।”