বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং মাদারীপুর–২ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মিল্টন বৈদ্য। তিনি অভিযোগ করেছেন, মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ সময় কারাগারে রেখে স্লো-পয়জনিংয়ের মাধ্যমে নেত্রীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজৈর পৌর ঈদগাহ মাঠে খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে মিল্টন বৈদ্য আবেগপ্রবণ কণ্ঠে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের সুস্থ মা’কে কেঙ্গারু কোর্টের মাধ্যমে দিন দিন কারাগারে রেখে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য করা হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য বেগম জিয়ার বেঁচে থাকা অত্যন্ত জরুরি। তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এই দেশের গণতন্ত্রের প্রতীক। স্বামী-সন্তানসহ জীবন থেকে অনেক কিছু হারিয়েও তিনি স্বৈরাচারের সঙ্গে কখনো আপোস করেননি। ২০১৩ সালের ৫ মে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি প্রথমে সোচ্চার হয়েছিলেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে নেত্রীর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মিল্টন বৈদ্য। মিলাদ শেষে প্রায় তিন হাজার মানুষের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মাদারীপুর জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান ফুকু, জেলা বিএনপির সমাজকল্যাণ সম্পাদক তাজুল মাতুব্বর, রাজৈর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ একরাম হাসান, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি হারুন মোল্লা, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল হাসান খান, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির মৃধা, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মঞ্জুসসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।