, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন অন্তঃসত্ত্বা সোনালী খাতুনসহ ৬ ভারতীয় Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মোদি, সহায়তার আশ্বাস Logo বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূলফটকে তালা, ভেতরে ইউএনও-ওসিসহ অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা Logo ইতালির মহাসড়কে মিলিটারি স্টাইলে ডাকাতি, ২ মিলিয়ন ইউরো লুট Logo বেগম জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় কুয়াকাটায় বিশেষ দোয়া মাহফিল Logo দৌলতপুরে কৃষকের বাড়িতে ঘণ্টাব্যাপী ডাকাতি Logo খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করে সরকারের প্রজ্ঞাপন Logo মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে: মিল্টন বৈদ্য Logo কুয়াকাটায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল Logo ‘ইসরায়েল না মানলেও দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান একমাত্র পথ’: পোপ লিও
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূলফটকে তালা, ভেতরে ইউএনও-ওসিসহ অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে
  • / ২ বার পড়া হয়েছে

ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের দাবি সহ মোট পাঁচ দফা দাবিতে ভোলায় টানা ১৯ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রজনতা। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সারাদিন জেলার ছয়টি উপজেলা এলাকায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে তারা। একই দাবিতে সন্ধ্যায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নিয়ে ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি সহ অর্ধশতাধিক কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। এসময় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল গেট ও পকেট গেটের লোহার শেকল দিয়ে বড় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ, নৌবাহিনী, র‌্যাব ও কোস্টগার্ড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালায়। তবে আন্দোলনকারীরা জানায়, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে। আন্দোলনের সংগঠক মীর মোশারেফ অমি বলেন, দাবি পূরণের পরই কর্মসূচি চালিয়ে যাব। সামনের দিনগুলোতে জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করার পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে অবস্থানরত শ্রমিক ও কর্মকর্তারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রবেশদ্বার তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে বিক্ষোভকারীদের দ্বারা। এর আগে দুপুর থেকে স্থানীয়রা ভোলা-বরিশাল সেতু, আবাসিক গ্যাস সংযোগ, মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে লংমার্চ করে আন্দোলনকারীরা বোরহানউদ্দিন সরকারি কলেজ মাঠে জড়ো হন। দুপুরে তারা একযোগে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের দিকে অগ্রসর হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দেয়। এরপর সেখানেই কয়েক হাজার ছাত্রজনতা বিক্ষোভ শুরু করে। অবরুদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রনজিৎ চন্দ্র দাস বলেন, প্রথমে আমাদের অবরুদ্ধ রাখা হলেও পরে বের হতে সক্ষম হয়েছি। সরকারি সম্পদ রক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রশাসন অবস্থান নিয়েছিল। দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূলফটকে তালা, ভেতরে ইউএনও-ওসিসহ অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা

আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে

ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের দাবি সহ মোট পাঁচ দফা দাবিতে ভোলায় টানা ১৯ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রজনতা। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সারাদিন জেলার ছয়টি উপজেলা এলাকায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে তারা। একই দাবিতে সন্ধ্যায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নিয়ে ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি সহ অর্ধশতাধিক কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। এসময় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল গেট ও পকেট গেটের লোহার শেকল দিয়ে বড় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ, নৌবাহিনী, র‌্যাব ও কোস্টগার্ড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালায়। তবে আন্দোলনকারীরা জানায়, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে। আন্দোলনের সংগঠক মীর মোশারেফ অমি বলেন, দাবি পূরণের পরই কর্মসূচি চালিয়ে যাব। সামনের দিনগুলোতে জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করার পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে অবস্থানরত শ্রমিক ও কর্মকর্তারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রবেশদ্বার তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে বিক্ষোভকারীদের দ্বারা। এর আগে দুপুর থেকে স্থানীয়রা ভোলা-বরিশাল সেতু, আবাসিক গ্যাস সংযোগ, মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে লংমার্চ করে আন্দোলনকারীরা বোরহানউদ্দিন সরকারি কলেজ মাঠে জড়ো হন। দুপুরে তারা একযোগে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের দিকে অগ্রসর হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দেয়। এরপর সেখানেই কয়েক হাজার ছাত্রজনতা বিক্ষোভ শুরু করে। অবরুদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রনজিৎ চন্দ্র দাস বলেন, প্রথমে আমাদের অবরুদ্ধ রাখা হলেও পরে বের হতে সক্ষম হয়েছি। সরকারি সম্পদ রক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রশাসন অবস্থান নিয়েছিল। দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।


প্রিন্ট