, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

হিমাগারে ৭ মাস পড়ে থাকার পর ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ সৎকার

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের হিমাগারে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা রাজন (৬৩) নামের এক ভারতীয় নাগরিকের লাশ শেষমেষ কারা কর্তৃপক্ষ দাফন সম্পন্ন করেছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে পৌরসভার মনোহরবাজার শ্মশানঘাটে তার দেহ দাহ করা হয়। প্রায় সাত মাস ধরে লাশটি সদর হাসপাতালের হিমাগারে সংরক্ষিত ছিল। মৃত্যুর আগে রাজন ভারতের দিল্লি প্রদেশের দিলিপের ছেলে। তবে তার জেলার নাম জানা যায়নি। শরীয়তপুর কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২২ সালের আগস্টের ২৫ তারিখে রাজনকে জাজিরা উপজেলার পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার এলাকায় আটক করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হলে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আদালত তাকে এক বছরের জন্য সশ্রম কারাদণ্ড দেন। সাজার মেয়াদ শেষে তিনি আর পি বন্দি হিসেবে কারাগারে ছিলেন না। ১৮ মে তার অসুস্থতা দেখা দিলে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর থেকে তার লাশ সদর হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়। অবশেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে তার দেহ দাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেল সুপার বজলুর রশিদ বলেন, রাজন একজন পি বন্দি ছিলেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর থেকে লাশটি ছয় মাসের বেশি সময় হিমাগারে ছিল। পরে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে দাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দাহের পর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়ে দেওয়া হবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

হিমাগারে ৭ মাস পড়ে থাকার পর ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ সৎকার

আপডেট সময় ১২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের হিমাগারে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা রাজন (৬৩) নামের এক ভারতীয় নাগরিকের লাশ শেষমেষ কারা কর্তৃপক্ষ দাফন সম্পন্ন করেছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে পৌরসভার মনোহরবাজার শ্মশানঘাটে তার দেহ দাহ করা হয়। প্রায় সাত মাস ধরে লাশটি সদর হাসপাতালের হিমাগারে সংরক্ষিত ছিল। মৃত্যুর আগে রাজন ভারতের দিল্লি প্রদেশের দিলিপের ছেলে। তবে তার জেলার নাম জানা যায়নি। শরীয়তপুর কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২২ সালের আগস্টের ২৫ তারিখে রাজনকে জাজিরা উপজেলার পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার এলাকায় আটক করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হলে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আদালত তাকে এক বছরের জন্য সশ্রম কারাদণ্ড দেন। সাজার মেয়াদ শেষে তিনি আর পি বন্দি হিসেবে কারাগারে ছিলেন না। ১৮ মে তার অসুস্থতা দেখা দিলে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর থেকে তার লাশ সদর হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়। অবশেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে তার দেহ দাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেল সুপার বজলুর রশিদ বলেন, রাজন একজন পি বন্দি ছিলেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর থেকে লাশটি ছয় মাসের বেশি সময় হিমাগারে ছিল। পরে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে দাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দাহের পর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়ে দেওয়া হবে।


প্রিন্ট