, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ভরা মঞ্চে তরুণীর হিজাব টেনে খুলে বিতর্কে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী Logo ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭০ কোটি ডলার Logo জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা Logo হাদিকে গুলি: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার Logo সাংবাদিক আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তারে সম্পাদক পরিষদের নিন্দা Logo পঞ্চগড়-১ আসনে মনোনয়নপত্র কিনলেন সারজিস আলম Logo সিইসির সেই বিতর্কিত বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলো ইসি Logo কালই বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ মোবাইল ফোন, নতুন সিদ্ধান্ত সরকারের Logo এমপি প্রার্থী ও রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সে নতুন নীতিমালা Logo গরুর সঙ্গে অটোরিকশার ধাক্কা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামের সংঘর্ষ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

‘বিএনপি সরকারে এলে লক্ষ্মীপুরে কৃষি অর্থনৈতিক জোন ও বিশ্ববিদ্যালয় হবে’

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে

লক্ষ্মীপুর-৩ সংসদীয় আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, কৃষি ফসলের উৎপাদনে আমাদের স্বনির্ভর ভূমি লক্ষ্মীপুর। এখানে কম খরচে ভালো ফলন হয়। ভবিষ্যত নির্বাচনে যদি বিএনপি সরকার গঠন করে, তবে কৃষি ভিত্তিক অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হবে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও মহিলা দলের আয়োজন করা মহিলাদের উঠান বৈঠকেএই সব কথা বলেন তিনি। শহীদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে লক্ষ্মীপুরে মাদক একটি বড় সমস্যা। এর নির্মূলের জন্য সামাজিক আন্দোলন ও প্রতিরোধ প্রয়োজন। ক্ষমতায় গেলে আমরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিয়ে এটি মোকাবিলা করব। মাদক সমাজে থাকবে না। মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের স্থান হবে কারাগার অথবা বিদেশ।’ তিনি আরও বলেন, ‘কৃষিপণ্যের পাইকারি বাজার তৈরি করা হবে, যেখানে কৃষকরা সরাসরি পণ্য বিক্রি করবে। পাশাপাশি একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে আমাদের সন্তানরা পড়াশোনা করবে। এই সব পরিকল্পনা আমি এ্যানীর পক্ষে বাস্তবায়ন করতে পারি, কারণ খালেদা ও তারেক রহমানের সঙ্গে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক।’ দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কিছু দিন পরে সংসদ নির্বাচন। এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে করে প্রতিপক্ষ সুবিধা নিতে পারে। ধানের শীষের সমর্থন কমে যেতে পারে। শালিসি বাণিজ্য বা দুর্নীতি করা যাবে না। এলাকায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি চলবে না। পেশীশক্তি দেখিয়ে ভয়ভীতির সৃষ্টি করা যাবে না। যারা এসব করবে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ জামায়াতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের ‘ফ্যামিলি কার্ড, কৃষি কার্ড ও স্বাস্থ্য কার্ড’ নিয়ে সমালোচনা করে। বলে, কাঁধে বস্তা নিয়ে হযরত ওমরের মতো বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সহায়তা পৌঁছে দেবে। আধুনিক যুগে এই ধরণের প্রচারণা অযৌক্তিক। এই সময় কথা বলার জন্য হিসাব-নিকাশ করে বলতে হয়। তারেক রহমান পরিকল্পিতভাবে দেশ গড়ার লক্ষ্যে ফ্যামিলি ও স্বাস্থ্য কার্ডসহ অন্যান্য সহায়তার কথা বলেছেন। ক্ষমতায় গেলে তা বাস্তবায়ন করবেন, যার ফলে বস্তা কাঁধে করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এছাড়া, সেটি বৈজ্ঞানিক ও বাস্তবসম্মত নয়।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেরা আনোয়ার, সেক্রেটারি সুমি ভূঁইয়া ও অনেকে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

‘বিএনপি সরকারে এলে লক্ষ্মীপুরে কৃষি অর্থনৈতিক জোন ও বিশ্ববিদ্যালয় হবে’

আপডেট সময় ০৮:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫

লক্ষ্মীপুর-৩ সংসদীয় আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, কৃষি ফসলের উৎপাদনে আমাদের স্বনির্ভর ভূমি লক্ষ্মীপুর। এখানে কম খরচে ভালো ফলন হয়। ভবিষ্যত নির্বাচনে যদি বিএনপি সরকার গঠন করে, তবে কৃষি ভিত্তিক অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হবে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও মহিলা দলের আয়োজন করা মহিলাদের উঠান বৈঠকেএই সব কথা বলেন তিনি। শহীদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে লক্ষ্মীপুরে মাদক একটি বড় সমস্যা। এর নির্মূলের জন্য সামাজিক আন্দোলন ও প্রতিরোধ প্রয়োজন। ক্ষমতায় গেলে আমরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিয়ে এটি মোকাবিলা করব। মাদক সমাজে থাকবে না। মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের স্থান হবে কারাগার অথবা বিদেশ।’ তিনি আরও বলেন, ‘কৃষিপণ্যের পাইকারি বাজার তৈরি করা হবে, যেখানে কৃষকরা সরাসরি পণ্য বিক্রি করবে। পাশাপাশি একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে আমাদের সন্তানরা পড়াশোনা করবে। এই সব পরিকল্পনা আমি এ্যানীর পক্ষে বাস্তবায়ন করতে পারি, কারণ খালেদা ও তারেক রহমানের সঙ্গে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক।’ দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কিছু দিন পরে সংসদ নির্বাচন। এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে করে প্রতিপক্ষ সুবিধা নিতে পারে। ধানের শীষের সমর্থন কমে যেতে পারে। শালিসি বাণিজ্য বা দুর্নীতি করা যাবে না। এলাকায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি চলবে না। পেশীশক্তি দেখিয়ে ভয়ভীতির সৃষ্টি করা যাবে না। যারা এসব করবে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ জামায়াতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের ‘ফ্যামিলি কার্ড, কৃষি কার্ড ও স্বাস্থ্য কার্ড’ নিয়ে সমালোচনা করে। বলে, কাঁধে বস্তা নিয়ে হযরত ওমরের মতো বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সহায়তা পৌঁছে দেবে। আধুনিক যুগে এই ধরণের প্রচারণা অযৌক্তিক। এই সময় কথা বলার জন্য হিসাব-নিকাশ করে বলতে হয়। তারেক রহমান পরিকল্পিতভাবে দেশ গড়ার লক্ষ্যে ফ্যামিলি ও স্বাস্থ্য কার্ডসহ অন্যান্য সহায়তার কথা বলেছেন। ক্ষমতায় গেলে তা বাস্তবায়ন করবেন, যার ফলে বস্তা কাঁধে করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এছাড়া, সেটি বৈজ্ঞানিক ও বাস্তবসম্মত নয়।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেরা আনোয়ার, সেক্রেটারি সুমি ভূঁইয়া ও অনেকে।


প্রিন্ট