, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখায় সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৬৩ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করার জের ধরে দুজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের মোট পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ২টায় উপজেলার তারাব পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তারাব পৌরসভার বরাব ছাপরা মসজিদের আল ইসলামের ছেলে শহিদুল ইসলামকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরই মাঝে পুলিশ তিন রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারাব পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর এলাকার মৃত সুজাত আলীর ছেলে সাকিবুল হাসান রূপগঞ্জ মানবাধিকার সংস্থার একজন সদস্য। এই ঘটনা নিয়ে তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন। সেখানে একই এলাকার আবু দায়েন প্রধানের ছেলে মাহিম চুদলিংপং লিখে মন্তব্য করেন। এরই জের ধরে রাত ১১টার দিকে সাকিবুল হাসান ও মাহিমের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে রাত ২টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এই ঘটনায় শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। তাকে পরে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় আরও চারজন আহত হন, যাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ফেসবুক পোস্টে মন্তব্যের জের ধরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই ঘটনার জন্য উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। দুই পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হবে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

কমেন্টে ‘চুদলিং পং’ লেখায় সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫

আপডেট সময় ০৮:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করার জের ধরে দুজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের মোট পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ২টায় উপজেলার তারাব পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তারাব পৌরসভার বরাব ছাপরা মসজিদের আল ইসলামের ছেলে শহিদুল ইসলামকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরই মাঝে পুলিশ তিন রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারাব পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর এলাকার মৃত সুজাত আলীর ছেলে সাকিবুল হাসান রূপগঞ্জ মানবাধিকার সংস্থার একজন সদস্য। এই ঘটনা নিয়ে তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন। সেখানে একই এলাকার আবু দায়েন প্রধানের ছেলে মাহিম চুদলিংপং লিখে মন্তব্য করেন। এরই জের ধরে রাত ১১টার দিকে সাকিবুল হাসান ও মাহিমের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে রাত ২টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এই ঘটনায় শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। তাকে পরে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় আরও চারজন আহত হন, যাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ফেসবুক পোস্টে মন্তব্যের জের ধরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই ঘটনার জন্য উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। দুই পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হবে।


প্রিন্ট