, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ভরা মঞ্চে তরুণীর হিজাব টেনে খুলে বিতর্কে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী Logo ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭০ কোটি ডলার Logo জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা Logo হাদিকে গুলি: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার Logo সাংবাদিক আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তারে সম্পাদক পরিষদের নিন্দা Logo পঞ্চগড়-১ আসনে মনোনয়নপত্র কিনলেন সারজিস আলম Logo সিইসির সেই বিতর্কিত বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলো ইসি Logo কালই বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ মোবাইল ফোন, নতুন সিদ্ধান্ত সরকারের Logo এমপি প্রার্থী ও রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সে নতুন নীতিমালা Logo গরুর সঙ্গে অটোরিকশার ধাক্কা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামের সংঘর্ষ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

শরীয়তপুরে বনবিভাগ এলাকায় ধর্ষণকাণ্ডে ৪ জন গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুরের বনবিভাগের এলাকায় এক মহিলাকে গণধর্ষণ ও মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী মোট ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এরপর পুলিশ তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে পালং মডেল থানায় এ মামলা দায়ের হয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কালকিনি থানার ঠেঙ্গামাড়া এলাকার বিল্লাল হাওলাদারের ছেলে মারুফ হাওলাদার (১৮), শরীয়তপুর সদর উপজেলার পূর্ব কাশাভোগ এলাকার দাদন বেপারীর ছেলে নাফিজ বেপারী (২২), মৃত মোস্তফা খানের ছেলে সাইফুল খান (২২) ও পশ্চিম পরাসর্দ্দি এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে সিফাদ ভূঁইয়া (২০)।

মামলার এজাহার ও পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেল ৫টার দিকে শরীয়তপুরের বনবিভাগের সামনের পথ দিয়ে যাওয়ার সময় এক যুবক ও কিশোর গ্যাং নেতা মারুফ খান তার সহযোগীদের নিয়ে বনবিভাগের অভ্যন্তরে ওই নারীতাকে জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, মারধর ও নগ্ন ছবি-ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি করেন। ওই সময় তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনও তারা নিয়ে যায়। এর পাশাপাশি তার ছেলে ও বন্ধুকেও মারধর করা হয়। তারা ওই নারী ও তার ছেলে বন্ধুর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চায়, না হলে বা কেউ জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুরো দেশে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির দাবি করে স্থানীয়রা। ভুক্তভোগীর সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য এসডিএস-এর নির্বাহী পরিচালক রাবেয়া বেগম বলেন, কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই নারীর চরিত্রহননের অপপ্রচার চালাচ্ছে। যেখানে তার ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা থাকা দরকার, সেখানে তার ব্যক্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সমাজে তাকে দোষী হিসেবে উপস্থাপন এ ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে, মেয়েটিকে আইনি সহায়তা দেওয়ায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন তার পাশে রয়েছে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে যেন সত্য তথ্য প্রকাশ পায় এবং তদন্ত সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, যাতে নারীটি সুবিচার পায়। ইমরান আল নাজির নামে এক ব্যক্তি বলেন, মেয়েটি তার ছেলে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল। এখন গেলে তাদের মারধর করে মোবাইল ও টাকা-পয়সা লুট করে এবং ধর্ষণ করে এমন ঘটনা আমরা চাই না। যারা এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ওসি শাহ আলম বলেন, ভুক্তভোগী নারী মারুফ খানসহ আরও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পরে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে, তাদের আজ আদালতে পাঠানো হবে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

শরীয়তপুরে বনবিভাগ এলাকায় ধর্ষণকাণ্ডে ৪ জন গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

শরীয়তপুরের বনবিভাগের এলাকায় এক মহিলাকে গণধর্ষণ ও মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী মোট ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এরপর পুলিশ তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে পালং মডেল থানায় এ মামলা দায়ের হয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কালকিনি থানার ঠেঙ্গামাড়া এলাকার বিল্লাল হাওলাদারের ছেলে মারুফ হাওলাদার (১৮), শরীয়তপুর সদর উপজেলার পূর্ব কাশাভোগ এলাকার দাদন বেপারীর ছেলে নাফিজ বেপারী (২২), মৃত মোস্তফা খানের ছেলে সাইফুল খান (২২) ও পশ্চিম পরাসর্দ্দি এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে সিফাদ ভূঁইয়া (২০)।

মামলার এজাহার ও পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেল ৫টার দিকে শরীয়তপুরের বনবিভাগের সামনের পথ দিয়ে যাওয়ার সময় এক যুবক ও কিশোর গ্যাং নেতা মারুফ খান তার সহযোগীদের নিয়ে বনবিভাগের অভ্যন্তরে ওই নারীতাকে জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, মারধর ও নগ্ন ছবি-ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি করেন। ওই সময় তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনও তারা নিয়ে যায়। এর পাশাপাশি তার ছেলে ও বন্ধুকেও মারধর করা হয়। তারা ওই নারী ও তার ছেলে বন্ধুর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চায়, না হলে বা কেউ জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুরো দেশে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির দাবি করে স্থানীয়রা। ভুক্তভোগীর সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য এসডিএস-এর নির্বাহী পরিচালক রাবেয়া বেগম বলেন, কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই নারীর চরিত্রহননের অপপ্রচার চালাচ্ছে। যেখানে তার ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা থাকা দরকার, সেখানে তার ব্যক্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সমাজে তাকে দোষী হিসেবে উপস্থাপন এ ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে, মেয়েটিকে আইনি সহায়তা দেওয়ায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন তার পাশে রয়েছে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে যেন সত্য তথ্য প্রকাশ পায় এবং তদন্ত সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, যাতে নারীটি সুবিচার পায়। ইমরান আল নাজির নামে এক ব্যক্তি বলেন, মেয়েটি তার ছেলে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল। এখন গেলে তাদের মারধর করে মোবাইল ও টাকা-পয়সা লুট করে এবং ধর্ষণ করে এমন ঘটনা আমরা চাই না। যারা এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ওসি শাহ আলম বলেন, ভুক্তভোগী নারী মারুফ খানসহ আরও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পরে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে, তাদের আজ আদালতে পাঠানো হবে।


প্রিন্ট