সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মধ্যে লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর গ্রামে শোকের মাতম চলছে। নিহত সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভগবানপুর) গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতা মৃত হাবিদুল রহমান ও মা সাকিনা বেগম। পরিবারের কাছ থেকে জানা গেছে, ২০১০ সালে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মী হিসেবে যোগ দেন। তিনি এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন। বড় বোনের বিবাহ হয়েছে। এক বছর আগে নাটোর জেলার একটি অনুষ্ঠানে তার বিয়ে হয়। বর্তমানে তার স্ত্রী ও মা বাড়িতেই আছেন। গত নভেম্বর মাসে তিনি সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যান। ছোটবেলা থেকেই বাবাকে হারানো সবুজের such an অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর খবর শুনে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একই সঙ্গে পুরো গ্রামে শোকের মাতম শুরু হয়েছে। মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনাসহ পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য তারা দাবি জানান। এই বিষয়টি নিয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। বিস্তারিত জানানো হবে দ্রুত। উল্লেখ্য, সবুজ ২০১০ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সুদানের আবেই অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে কাদুগলি লজিস্টিক বেসে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৪০ থেকে ৩টা ৫০ মিনিটের মধ্যে এক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় তিনিসহ আরও ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন এবং আটজন আহত হন।