, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

হাদির হামলাকারীরা সীমান্ত পেরিয়েছে কি না নিশ্চিত নয়: বিজিবি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান উল্লেখ করেছেন, ঢাকায় শরীফ ওসমান হাদীর ওপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় ময়মনসিংহ সীমান্ত দিয়ে কেউ কি ভারতে পালিয়ে গেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই ঘটনায় মানবপাচারকারী ফিলিপ স্নালকে ধরতেই বিজিবি সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের, বিজিবির এবং সোর্সের তালিকায় তার নাম বারবার উঠে আসছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে ময়মনসিংহের খাগডহর বিজিবি ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ঘটনার রাতে শুক্রবার ৯টার মধ্যে বিজিবির সদর দফতরের নির্দেশনায় সম্ভাব্য পাচার রুট শনাক্ত করে টহল ও চেকপোস্ট বসানো হয়। পরের দিন শনিবার পুলিশ ও বিজিবির যৌথ অভিযান পরিকল্পনা করা হয়। ঢাকা থেকে আসা পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বিজিবির ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডার নিয়মিত যোগাযোগ করে অপারেশনের ব্যাপারে আলোচনা করেন। দুইটি স্থানে একই সময়ে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ আসে। সন্দেহভাজন হিসেবে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অবস্থানরত ফিলিপ স্নালকে আটক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। আরেকটি অভিযান হালুয়াঘাট এলাকায় চলানো হয়। এই অভিযানে বিজিবি সোর্স ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশকে সহায়তা করে। অন্যদিকে, নালিতাবাড়ীর বারোমারি এলাকায় বিজিবির নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয় এবং ঢাকা থেকে আসা ও হালুয়াঘাট থানার পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন। কিন্তু ফিলিপকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী ডেলটা চিরান, শ্বশুর ইয়ারসন রংডি ও মানবপাচারকারী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়। এই পরিবারের তিনজনসহ এখন পর্যন্ত বিজিবি চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে সোমবার সকালে মানবপাচারকারী বেঞ্জামিন চিরামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

হাদির হামলাকারীরা সীমান্ত পেরিয়েছে কি না নিশ্চিত নয়: বিজিবি

আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে

বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান উল্লেখ করেছেন, ঢাকায় শরীফ ওসমান হাদীর ওপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় ময়মনসিংহ সীমান্ত দিয়ে কেউ কি ভারতে পালিয়ে গেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই ঘটনায় মানবপাচারকারী ফিলিপ স্নালকে ধরতেই বিজিবি সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের, বিজিবির এবং সোর্সের তালিকায় তার নাম বারবার উঠে আসছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে ময়মনসিংহের খাগডহর বিজিবি ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ঘটনার রাতে শুক্রবার ৯টার মধ্যে বিজিবির সদর দফতরের নির্দেশনায় সম্ভাব্য পাচার রুট শনাক্ত করে টহল ও চেকপোস্ট বসানো হয়। পরের দিন শনিবার পুলিশ ও বিজিবির যৌথ অভিযান পরিকল্পনা করা হয়। ঢাকা থেকে আসা পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বিজিবির ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডার নিয়মিত যোগাযোগ করে অপারেশনের ব্যাপারে আলোচনা করেন। দুইটি স্থানে একই সময়ে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ আসে। সন্দেহভাজন হিসেবে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অবস্থানরত ফিলিপ স্নালকে আটক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। আরেকটি অভিযান হালুয়াঘাট এলাকায় চলানো হয়। এই অভিযানে বিজিবি সোর্স ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশকে সহায়তা করে। অন্যদিকে, নালিতাবাড়ীর বারোমারি এলাকায় বিজিবির নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয় এবং ঢাকা থেকে আসা ও হালুয়াঘাট থানার পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন। কিন্তু ফিলিপকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী ডেলটা চিরান, শ্বশুর ইয়ারসন রংডি ও মানবপাচারকারী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়। এই পরিবারের তিনজনসহ এখন পর্যন্ত বিজিবি চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে সোমবার সকালে মানবপাচারকারী বেঞ্জামিন চিরামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।


প্রিন্ট