শহিদ বুদ্ধিজীবীদের বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খানএর পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছে। এ সময় ভবনের ভিতরে দুই উপ-উপাচার্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তালা খোলা হবে না বলে ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’ এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন। এ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। চবি ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশের নাগরিকদের করের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়, কোনো রাজাকারের অর্থে নয়। একজন উপ-উপাচার্যের কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়, তাই তাকে পদত্যাগ করতে হবে। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেন, তিনি বর্তমানে একটি কর্মসূচিতে আছেন এবং এ মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করতে চান না। অন্যদিকে, এই বক্তব্যের প্রতিবাদে ইতিহাস বিভাগ তাদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খানকে বয়কট করেছে। পাশাপাশি আরও দুটি বিভাগ তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে পৃথক বিবৃতি দিয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল ৫৪তম শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে উপাচার্যের সভাকক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘যে সময় আমি দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করছি, জীবিত থাকবো নাকি মৃত থাকবো সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সেই সময়ে পাকিস্তানের যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে—এটা আমি রীতিমতো অবান্তর মনে করি।’