, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বিজয় দিবস উদযাপনে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৬ ঘন্টা আগে
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবসের উদযাপনে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, গ্রাফিতি সরানো হয়নি, কেবল প্যানা পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। সারাদেশের মতোই ময়মনসিংহের ফুলপুরের শিক্ষার্থীরা জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। তারা রাস্তা বেরিকেট দিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম নামে এক কৃষক শহীদ হয়েছেন। আন্দোলনের শক্তি বাড়াতে ফুলপুরের গোল চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের বেদীতে অংকন করেন, “পানি লাগবে কারো পানি, স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনবো, এক সাঈদ লোকান্তরে লক্ষ সাঈদ ঘরে ঘরে।” এ ধরনের উক্তি লিখেন শিক্ষার্থীরা। বিজয় দিবসের স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে লেখা এই সব উক্তি মুছে ফেলায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জুলাইযোদ্ধা সামাদ খান নাঈম বলেন, “২/৩ দিন ধরে দেখছি আমাদের অংকিত গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে। কারা এটা করেছে জানি না, তবে এটা খুবই খারাপ। আশা করিনি। আমরা আন্দোলনের মাঝে এসব আঁকতাম। এখন ইচ্ছে করলেই তা আঁকা সম্ভব নয়।” এ বিষয়ে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে দশটার সময় ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, “জুলাই আন্দোলনের কোনো গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়নি। তবে প্যানা পোস্টার ছিল, সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে।” তিনি জানান, উপজেলা শহরের গোল চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে কোনো গ্রাফিতি ছিল না। পরে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসন ফেসবুক পেজে রাত ১২টার দিকে এক পোস্ট দেওয়া হয়, যেখানে লেখা হয়, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী গোল চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংকিত গ্রাফিতি ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়ায় মুছে ফেলা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর আবার নতুন করে অংকন করা হবে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কিছু থাকবে না।” ময়মনসিংহ সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “কোনো কিছু মুছে দিয়ে লিখে দেওয়া প্রকৃত চেতনাকে ধারণ করে না। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিজের অংকিত লেখার মাধ্যমে সাহস দেখিয়েছেন। তাই ইতিহাস মুছে ফেলা কোনোভাবেই কাম্য নয়।”


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

বিজয় দিবস উদযাপনে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি

আপডেট সময় ৬ ঘন্টা আগে

ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবসের উদযাপনে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, গ্রাফিতি সরানো হয়নি, কেবল প্যানা পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। সারাদেশের মতোই ময়মনসিংহের ফুলপুরের শিক্ষার্থীরা জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। তারা রাস্তা বেরিকেট দিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম নামে এক কৃষক শহীদ হয়েছেন। আন্দোলনের শক্তি বাড়াতে ফুলপুরের গোল চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের বেদীতে অংকন করেন, “পানি লাগবে কারো পানি, স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনবো, এক সাঈদ লোকান্তরে লক্ষ সাঈদ ঘরে ঘরে।” এ ধরনের উক্তি লিখেন শিক্ষার্থীরা। বিজয় দিবসের স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে লেখা এই সব উক্তি মুছে ফেলায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জুলাইযোদ্ধা সামাদ খান নাঈম বলেন, “২/৩ দিন ধরে দেখছি আমাদের অংকিত গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে। কারা এটা করেছে জানি না, তবে এটা খুবই খারাপ। আশা করিনি। আমরা আন্দোলনের মাঝে এসব আঁকতাম। এখন ইচ্ছে করলেই তা আঁকা সম্ভব নয়।” এ বিষয়ে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে দশটার সময় ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, “জুলাই আন্দোলনের কোনো গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়নি। তবে প্যানা পোস্টার ছিল, সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে।” তিনি জানান, উপজেলা শহরের গোল চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে কোনো গ্রাফিতি ছিল না। পরে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসন ফেসবুক পেজে রাত ১২টার দিকে এক পোস্ট দেওয়া হয়, যেখানে লেখা হয়, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী গোল চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংকিত গ্রাফিতি ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়ায় মুছে ফেলা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর আবার নতুন করে অংকন করা হবে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কিছু থাকবে না।” ময়মনসিংহ সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “কোনো কিছু মুছে দিয়ে লিখে দেওয়া প্রকৃত চেতনাকে ধারণ করে না। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিজের অংকিত লেখার মাধ্যমে সাহস দেখিয়েছেন। তাই ইতিহাস মুছে ফেলা কোনোভাবেই কাম্য নয়।”


প্রিন্ট