লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেহেরিন নাহার তানিশা নামে এক তরুণীকে অপহরণের অভিযোগে তার পরিবার মামলা করে। তবে সাংবাদিক সম্মেলনে নিজেকে পরিচয় দিয়ে তানিশা জানায়, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। তিনি বলেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজাম উদ্দিন শুভর সঙ্গে ঢাকায় গিয়ে আদালতে বিবাহ সম্পন্ন করেছি।’ এসময় তিনি তার পরিবারকে মামলা প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেন। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের এক চাইনিজ রেস্তোরায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওই সময় তার স্বামী ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন শুভ উপস্থিত ছিলেন। তানিশা তোরাবগঞ্জ গ্রামের তাহের আহমেদের মেয়ে এবং তার স্বামী উত্তর চরলরেঞ্চ গ্রামের হাবিব উল্ল্যাহর ছেলে। তিনি বলেন, ‘গত ৪ ডিসেম্বর রাতে আমি আমার ইচ্ছায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে শুভর সাথে চলে যাই। ঢাকায় গিয়ে আমরা বিবাহ সম্পন্ন করি। এখন আমার মা-বাবা আমাদের নামে মিথ্যা অপহরণের মামলা দিয়েছে। তারা আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে হয়রানি করছে। আমি চাই না এই মামলা চলুক। আমি নিজের ইচ্ছায় গিয়েছি, ওদের কোনো দোষ নেই। আমার মা-বাবার কাছে আমার অনুরোধ, তারা যেন আমাদের বিবাহকে মান্যতা দেয় এবং কারো হয়রানি না করে।’ নিজাম উদ্দিন শুভ বলেন, ‘তানিশার সাথে আমার এক বছরের সম্পর্ক ছিল। তার পরিবার তাকে অন্য জায়গায় বিবাহ দেয়। এরপর সে নিজেই বাড়ি থেকে ফোন করে আমাকে জানায়। আমরা বিবাহ করেছি। এখন তার পরিবারের পক্ষ থেকে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা প্রত্যাহার করে দাও, আমরা চাই যে দুই পরিবার আমাদের সম্মান করবে।’ এ বিষয়ে মামলার বাদী মরিয়ম বেগমের সঙ্গে কথা বলতে পারেনি। তবে তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, শুভসহ অভিযুক্তরা সিএনজিতে তানিশাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। কমলনগর থানার ওসি ফরিদুল আলম বলেন, তানিশাকে থানায় আসার জন্য বলা হচ্ছে। তিনি যদি আমাদের মাধ্যমে আদালতে উপস্থিত হন এবং মতামত দেন, তাহলে বিষয়টি সমাধান হবে। উল্লেখ্য, মেহেরিন নাহার তানিশাকে অপহরণের অভিযোগে তার মা মরিয়ম বেগম ৪ ডিসেম্বর কমলনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে তানিশার স্বামী শুভসহ তিনজনের নাম উল্লেখ ও তিনজনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়।