, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

পালিয়ে বিয়ে করায় বরের মাকে হত্যা, আটক ৩

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় এক ঘন্টা আগে
  • / ২ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পালিয়ে বিয়ে করার কারণে কনের পরিবারের লোকজন ইট ছুঁড়ে বর মা দীপালি রাণী দাস (৫৫) কে আঘাত করে, যার ফলে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত দীপালি রাণী দাস ওই এলাকার মৃত শয়লেন চন্দ্র দাসের স্ত্রী। নিহতের মেয়ে ইতি দাস জানায়, প্রায় তিন মাস আগে তার ভাই সবুজ চন্দ্র দাস প্রতিবেশী সুকেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে সুইটি রাণী দাসকে পালিয়ে বিয়ে করে। কিন্তু এই বিয়েকে তারা মানতে চাননি কনের পরিবার। বিয়ের পর থেকেই বর পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয় দেখানো শুরু হয়। এক পর্যায়ে নিরাপত্তাহীনতার কারণে তারা অন্যত্র চলে যায়। সম্প্রতি তারা ফিরে আসার পর কনের পরিবারের পক্ষ থেকে আবারও হামলা ও ভীতি প্রদর্শন শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বাজারে সবুজের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। দুপুরে এই ঘটনার প্রতিবাদে গেলে কনের পরিবারের লোকজন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সবুজের শ্যালক নিলয় চন্দ্র দাস ইট দিয়ে দীপালি রাণী দাসের মাথা ও মুখে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় কনের পরিবারের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

পালিয়ে বিয়ে করায় বরের মাকে হত্যা, আটক ৩

আপডেট সময় এক ঘন্টা আগে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পালিয়ে বিয়ে করার কারণে কনের পরিবারের লোকজন ইট ছুঁড়ে বর মা দীপালি রাণী দাস (৫৫) কে আঘাত করে, যার ফলে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত দীপালি রাণী দাস ওই এলাকার মৃত শয়লেন চন্দ্র দাসের স্ত্রী। নিহতের মেয়ে ইতি দাস জানায়, প্রায় তিন মাস আগে তার ভাই সবুজ চন্দ্র দাস প্রতিবেশী সুকেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে সুইটি রাণী দাসকে পালিয়ে বিয়ে করে। কিন্তু এই বিয়েকে তারা মানতে চাননি কনের পরিবার। বিয়ের পর থেকেই বর পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয় দেখানো শুরু হয়। এক পর্যায়ে নিরাপত্তাহীনতার কারণে তারা অন্যত্র চলে যায়। সম্প্রতি তারা ফিরে আসার পর কনের পরিবারের পক্ষ থেকে আবারও হামলা ও ভীতি প্রদর্শন শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বাজারে সবুজের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। দুপুরে এই ঘটনার প্রতিবাদে গেলে কনের পরিবারের লোকজন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সবুজের শ্যালক নিলয় চন্দ্র দাস ইট দিয়ে দীপালি রাণী দাসের মাথা ও মুখে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় কনের পরিবারের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট