, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

মান্নাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আদালতের

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১৭ ঘন্টা আগে
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ার শিবগঞ্জের আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের ৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের পুনঃতফসিলের ব্যাপারে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। পলাতক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ভুয়া উপস্থিতি দেখিয়ে বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত, জাল স্বাক্ষর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা উপেক্ষা করার অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের পিএলসির একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া সমন্বিত কার্যালয় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই আদেশ দেন বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক শাজাহান কবির। আদালত সূত্র জানায়, ৩৮ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি ও পুনঃতফসিলের অভিযোগে ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর মিল্লাত হোসেন নামে একজন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট আফাকু কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী, যিনি জুলাই গণহত্যার ৯ মামলার আসামি, তার স্ত্রী ইসমত আরাসহ তারা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এরপরও ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ব্যাংকে জমা দেওয়া বোর্ড রেজুলেশনে দেখা যায়, তারা উপস্থিত ছিলেন এবং সভায় অংশগ্রহণ ও স্বাক্ষর করেছেন বলে দেখানো হয়। ইসলামী ব্যাংকের বড়গোলা শাখা সূত্র জানায়, ২০১০ সালে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডকে ২২ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়, যা সুদ ও মুনাফাসহ বর্তমানে প্রায় ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নথিতে উল্লেখ করা হয়, এই প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ছয়বার ঋণের পুনঃতফসিলের সুবিধা পেয়েছে। তবে লাভজনক হলেও ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করেছে বলে ব্যাংকের নিজস্ব চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই মামলায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এম জুবায়দুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খানসহ মোট চার শীর্ষ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও আফাকু কোল্ড স্টোরেজের চেয়ারম্যান মাহামুদুর রহমান মান্নাকেও অভিযুক্ত করা হয়। আদালতের নির্দেশের প্রসঙ্গে দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বলেন, তারা আদালতের আদেশের কপি পেয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

মান্নাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আদালতের

আপডেট সময় ১৭ ঘন্টা আগে

বগুড়ার শিবগঞ্জের আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের ৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের পুনঃতফসিলের ব্যাপারে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। পলাতক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ভুয়া উপস্থিতি দেখিয়ে বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত, জাল স্বাক্ষর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা উপেক্ষা করার অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের পিএলসির একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া সমন্বিত কার্যালয় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই আদেশ দেন বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক শাজাহান কবির। আদালত সূত্র জানায়, ৩৮ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি ও পুনঃতফসিলের অভিযোগে ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর মিল্লাত হোসেন নামে একজন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট আফাকু কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী, যিনি জুলাই গণহত্যার ৯ মামলার আসামি, তার স্ত্রী ইসমত আরাসহ তারা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এরপরও ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ব্যাংকে জমা দেওয়া বোর্ড রেজুলেশনে দেখা যায়, তারা উপস্থিত ছিলেন এবং সভায় অংশগ্রহণ ও স্বাক্ষর করেছেন বলে দেখানো হয়। ইসলামী ব্যাংকের বড়গোলা শাখা সূত্র জানায়, ২০১০ সালে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডকে ২২ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়, যা সুদ ও মুনাফাসহ বর্তমানে প্রায় ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নথিতে উল্লেখ করা হয়, এই প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ছয়বার ঋণের পুনঃতফসিলের সুবিধা পেয়েছে। তবে লাভজনক হলেও ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করেছে বলে ব্যাংকের নিজস্ব চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই মামলায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এম জুবায়দুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খানসহ মোট চার শীর্ষ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও আফাকু কোল্ড স্টোরেজের চেয়ারম্যান মাহামুদুর রহমান মান্নাকেও অভিযুক্ত করা হয়। আদালতের নির্দেশের প্রসঙ্গে দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বলেন, তারা আদালতের আদেশের কপি পেয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।


প্রিন্ট