পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ভুয়া চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে দিপংকর শীল (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার রতনদী-তালতলী ইউনিয়নের কাটাখালী বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়। দিপংকর শীল ওই এলাকার বাসিন্দা ও উমেশ শীলের ছেলে। সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ‘পল্লী চিকিৎসক’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে রোগীদের সেবা দিয়ে আসছিলেন তিনি। তার কাছে বৈধ চিকিৎসা সার্টিফিকেট না থাকলেও তিনি রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ওষুধের পরামর্শ দিতেন, যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এর আইনে, ২০১০-এর ২২ ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত এ দণ্ড প্রদান করেন। আদালতের পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. নোমান পারভেজ ও গলাচিপা থানার পুলিশ সদস্যরা। অভিযানের সময় কিছু স্থানীয় ব্যক্তি অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর সহায়তায় অভিযুক্তকে আটক করে আদালতে হাজির করা হয়। এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ বলেন, দিপংকর শীল এর আগেও একই অপরাধে শাস্তি পেয়েছিলেন। আবারো একই অপরাধে দণ্ডিত হওয়ায় তাকে দুই দণ্ডই দেওয়া হয়। জনস্বার্থে অবৈধ চিকিৎসা কার্যক্রমের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।