হাদি হত্যার দায় সরকারের ওপর চাপিয়ে দেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, দেশের নির্বাচনের আগে প্রার্থী, ভোটার এবং মাঠের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। শুক্রবার (۱۹ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বিটঘর বাজারের বালুর মাঠে পানিশ্বর ইউনিয়ন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সরকার বলছে— ২০২৬ সালে দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা নির্বাচন উপহার দেবে। আমরাও সেই বিশ্বাসে আছি। কিন্তু এরই মধ্যে আমাদের ভাই হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এর ফলে প্রার্থীরা এবং ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে, ৫০ থেকে ৬০ জন এমপির নামের তালিকা তৈরি হয়েছে, যাদের ওপর হামলা চালিয়ে নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা থাকতে পারে। আল্লাহই মালিক—এতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু সরকারেরও দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। ওসমান হাদির মৃত্যুর জন্য সরকারকে দায় নিতে হবে।’ আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে ঢাকা শহরসহ সারাদেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। এর জন্য বর্তমান সরকারকেই দায়ী করতে হবে।’ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সব অস্ত্রের উৎস অনুসন্ধান করুন। আপনারা পুলিশ, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে। ৫ আগস্টের পর থানায় লুট হওয়া অস্ত্র যদি কারো কাছে পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।’ রুমিন ফারহানা স্পষ্ট করে বলেন, ‘২০২৬ সালের নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবে, ভোটার থাকবে এবং মাঠে কাজ করবে—প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি আপনি আমার পাশে থাকেন, ইনশাআল্লাহ, যে মার্কা কিছুই হোক—আমি সরাইল ও আশুগঞ্জে নির্বাচন করতে আসব।’ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ দানা মিয়া সর্দার।