শরীয়তপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ককটেল বিস্ফোরণে কমপক্ষে দশজন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার সময় শহরের চৌরাঙ্গী এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের সূত্র জানায়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা ও খুলনার শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক মোতালেব শিকদারের ওপর গুলির প্রতিবাদ ও দোষীদের বিচারের দাবিতে চৌরাঙ্গী এলাকা দিয়ে এনসিপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় মিছিলের মধ্যে এক ছাত্রদল কর্মীর মোটরসাইকেল ঢোকা নিয়ে বাকবিতণ্ডা ও একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। ককটেল বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচজন আহত হন। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল তালুকদার বলেন, আমাদের এক ছাত্রদল কর্মী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আটকানো হয়। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে এনসিপির নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার। অন্যদিকে পাল্টা অভিযোগ করে জেলা এনসিপির সাবেক যুগ্ম সমন্বয়কারী সবুজ তালুকদার বলেন, আমরা প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। ছাত্রদলের এক ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের মিছিলে ঢুকে যায় এবং একজন কর্মীর ওপর হামলা চালায়। পরে আমরা তাকে ধরে রাখলে সোহেল ও তার দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালায়। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা। পালং মডেল থানার ওসি শাহ আলম বলেন, মিছিলে একটি মোটরসাইকেল ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।