, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাঁসের কারণে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৫ জন Logo লক্ষ্মীপুরে ২০০ শিশুর জন্য এল ঈদের আনন্দ, পাচ্ছে বিশেষ উপহার Logo গণহত্যার বিচার যদি বিলম্বিত হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদ আবার উত্থান ঘটাতে পারে: আখতার Logo স্বর্ণের দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী, ভরির মূল্য কি এখন Logo ‌খোলা-পিকআপে ২০ কিলোমিটার সড়ক ভাড়া ২০০! Logo দাফনের ৭৫ দিন পর বাড়িতে ফিরে এলো কিশোর Logo ‘ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের সমস্যা হবে সমাধান’ Logo ময়মনসিংহে ঈদের বিশেষ জামাতের সময় ও স্থান জানুন Logo ১৩ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা যুবতীর Logo শিশুর ওপর ধর্ষণের চেষ্টা: অভিযুক্তকে উত্তেজিত জনতার হাতে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

স্ত্রীকে হাত-পা বাঁধা ছবি পাঠিয়ে অপহরণের নাটক, পুলিশের ফাঁদে ধরা ইদ্রিস

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১১৪ বার পড়া হয়েছে

অপহরণের নাটক, কিন্তু কেন?

কক্সবাজারের পেকুয়ার বাসিন্দা ও মালয়েশিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ ইদ্রিস নিজেই নিজের অপহরণের নাটক সাজান। মূলত তিন লাখ টাকার ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে তিনি এই পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্ত্রীর মোবাইলে নিজের হাত-পা বাঁধা ছবি পাঠান এবং জানান যে অপহরণকারীরা তাকে মেরে ফেলবে, যদি ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দেওয়া হয়।

পরিবারের সদস্যরা প্রথমে ভয় পেয়ে মুক্তিপণ দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ইদ্রিসকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।

কীভাবে ফাঁস হলো পরিকল্পনা?

২৪ জানুয়ারি রাতে টৈটং বাজার থেকে আত্মগোপনে যান ইদ্রিস। এরপর তার মোবাইল ট্র্যাক করে পুলিশ সাতকানিয়া ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। কিন্তু তার সন্ধান মেলেনি। পুলিশ তখন ইদ্রিসের নিকট আত্মীয় নবি হোসেনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে নবি স্বীকার করেন, ইদ্রিস তাকে আগে থেকেই অপহরণের নাটকের ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই ওয়াসা মোহরা বালুর টাল এলাকা থেকে ইদ্রিসকে উদ্ধার করা হয়।

ইদ্রিসের স্বীকারোক্তি

উদ্ধারের পর ইদ্রিস পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, এটি তার সাজানো নাটক ছিল। তিনি জানান—
✔ ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মুক্তিপণের নাটক সাজান
✔ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা আদায় করে মালয়েশিয়া পালানোর পরিকল্পনা করেন
✔ দোকান থেকে রশি কিনে এক ব্যক্তির সহায়তায় হাত-পা বাঁধেন এবং ছবিটি স্ত্রীর কাছে পাঠান
✔ পুলিশ তাকে খুঁজে বের করবে, এমন আশঙ্কা ছিল না

তবে ঘটনাটি এত বড় হয়ে যাবে, তা কল্পনাও করেননি বলে জানান তিনি।

আইনগত ব্যবস্থা

পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, ইদ্রিসকে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

স্ত্রীকে হাত-পা বাঁধা ছবি পাঠিয়ে অপহরণের নাটক, পুলিশের ফাঁদে ধরা ইদ্রিস

আপডেট সময় ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

অপহরণের নাটক, কিন্তু কেন?

কক্সবাজারের পেকুয়ার বাসিন্দা ও মালয়েশিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ ইদ্রিস নিজেই নিজের অপহরণের নাটক সাজান। মূলত তিন লাখ টাকার ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে তিনি এই পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্ত্রীর মোবাইলে নিজের হাত-পা বাঁধা ছবি পাঠান এবং জানান যে অপহরণকারীরা তাকে মেরে ফেলবে, যদি ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দেওয়া হয়।

পরিবারের সদস্যরা প্রথমে ভয় পেয়ে মুক্তিপণ দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ইদ্রিসকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।

কীভাবে ফাঁস হলো পরিকল্পনা?

২৪ জানুয়ারি রাতে টৈটং বাজার থেকে আত্মগোপনে যান ইদ্রিস। এরপর তার মোবাইল ট্র্যাক করে পুলিশ সাতকানিয়া ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। কিন্তু তার সন্ধান মেলেনি। পুলিশ তখন ইদ্রিসের নিকট আত্মীয় নবি হোসেনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে নবি স্বীকার করেন, ইদ্রিস তাকে আগে থেকেই অপহরণের নাটকের ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই ওয়াসা মোহরা বালুর টাল এলাকা থেকে ইদ্রিসকে উদ্ধার করা হয়।

ইদ্রিসের স্বীকারোক্তি

উদ্ধারের পর ইদ্রিস পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, এটি তার সাজানো নাটক ছিল। তিনি জানান—
✔ ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মুক্তিপণের নাটক সাজান
✔ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা আদায় করে মালয়েশিয়া পালানোর পরিকল্পনা করেন
✔ দোকান থেকে রশি কিনে এক ব্যক্তির সহায়তায় হাত-পা বাঁধেন এবং ছবিটি স্ত্রীর কাছে পাঠান
✔ পুলিশ তাকে খুঁজে বের করবে, এমন আশঙ্কা ছিল না

তবে ঘটনাটি এত বড় হয়ে যাবে, তা কল্পনাও করেননি বলে জানান তিনি।

আইনগত ব্যবস্থা

পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, ইদ্রিসকে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট