দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৯ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা। একই আইনের ২৭(১) ধারায় ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে তাকে অতিরিক্ত ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় মিজানুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। আদালতের স্টেনোগ্রাফার মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের করা মামলার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
তদন্তে বেরিয়ে আসে, মিজানুর রহমান ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। মিজানুর রহমান ২০১৪ সালে খুলনা-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে দুর্নীতি মামলায় তার সাজা রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।