, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ভরা মঞ্চে তরুণীর হিজাব টেনে খুলে বিতর্কে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী Logo ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭০ কোটি ডলার Logo জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা Logo হাদিকে গুলি: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার Logo সাংবাদিক আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তারে সম্পাদক পরিষদের নিন্দা Logo পঞ্চগড়-১ আসনে মনোনয়নপত্র কিনলেন সারজিস আলম Logo সিইসির সেই বিতর্কিত বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলো ইসি Logo কালই বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ মোবাইল ফোন, নতুন সিদ্ধান্ত সরকারের Logo এমপি প্রার্থী ও রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সে নতুন নীতিমালা Logo গরুর সঙ্গে অটোরিকশার ধাক্কা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামের সংঘর্ষ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

গ্রেপ্তারের পর সেই আয়েশাকে নিয়ে যে তথ্য দিলো পুলিশ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২২ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে মা-সন্তানকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার অভিযানে তাকে আটক করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। দুপুরের দিকে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের এডিসি মোহাম্মাদ জুয়েল রানা জানান, মোহাম্মদপুরে মা-সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় মূল আসামী গৃহকর্মী আয়েশাকে ঝালকাঠির নলছিটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথমে তার স্বামীকে ঢাকার সাভার থেকে আটক করা হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে ঝালকাঠি থেকে তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এডিসি মোহাম্মাদ জুয়েল রানা বলেন, এই ক্লু-লেস খুনের রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ জানতে পারে, ছয় মাস আগে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকার এক বাসায় চুরি করেছিলেন আয়েশা। এর আগে গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের ১৪তলা ভবনের সপ্তম তলার বাসা থেকে গৃহবধূ লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার স্কুলপড়ুয়া মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতেই নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী আজিজুল ইসলাম মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে সাদা সালোয়ার কামিজ, প্রিন্টের ওড়না ও পায়ে কেডস জুতা পরা এক তরুণী ধীরগতিতে ভবনের সিঁড়ি দিয়ে নামছেন। তার পিঠে ব্যাগ এবং মুখে মাস্ক ছিল। ওই সময় ভবনের প্রধান প্রবেশপথে তিনজন বসে ছিলেন। তরুণী বের হওয়ার সময় একজন উঠে দাঁড়িয়ে গেট খুলে দেন। পরে তিনি অটোরিকশায় উঠে চলে যান। ওই তরুণী মূলত নিহত নাফিসার বাসার গৃহকর্মী আয়েশা। ঘটনার পর সে মা-সন্তানকে হত্যা করে পোশাক পরে বেরিয়ে যায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঐদিন সকালে কাজের জন্য গৃহকর্তা আজিজুল ইসলাম বাসা থেকে বের হন। ফিরে এসে স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন তিনি। মেয়ে নাফিসাকে জীবিত অবস্থায় পেলেও পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় সে। পরে মরদেহ উদ্ধার ও ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণে গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই বারবার স্থান পরিবর্তন করেন গৃহকর্মী আয়েশা। সবশেষ বুধবার ঝালকাঠির নলছিটি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

গ্রেপ্তারের পর সেই আয়েশাকে নিয়ে যে তথ্য দিলো পুলিশ

আপডেট সময় ০৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে মা-সন্তানকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার অভিযানে তাকে আটক করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। দুপুরের দিকে আয়েশাকে গ্রেপ্তার করার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের এডিসি মোহাম্মাদ জুয়েল রানা জানান, মোহাম্মদপুরে মা-সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় মূল আসামী গৃহকর্মী আয়েশাকে ঝালকাঠির নলছিটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথমে তার স্বামীকে ঢাকার সাভার থেকে আটক করা হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে ঝালকাঠি থেকে তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এডিসি মোহাম্মাদ জুয়েল রানা বলেন, এই ক্লু-লেস খুনের রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ জানতে পারে, ছয় মাস আগে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকার এক বাসায় চুরি করেছিলেন আয়েশা। এর আগে গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের ১৪তলা ভবনের সপ্তম তলার বাসা থেকে গৃহবধূ লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার স্কুলপড়ুয়া মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতেই নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী আজিজুল ইসলাম মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে সাদা সালোয়ার কামিজ, প্রিন্টের ওড়না ও পায়ে কেডস জুতা পরা এক তরুণী ধীরগতিতে ভবনের সিঁড়ি দিয়ে নামছেন। তার পিঠে ব্যাগ এবং মুখে মাস্ক ছিল। ওই সময় ভবনের প্রধান প্রবেশপথে তিনজন বসে ছিলেন। তরুণী বের হওয়ার সময় একজন উঠে দাঁড়িয়ে গেট খুলে দেন। পরে তিনি অটোরিকশায় উঠে চলে যান। ওই তরুণী মূলত নিহত নাফিসার বাসার গৃহকর্মী আয়েশা। ঘটনার পর সে মা-সন্তানকে হত্যা করে পোশাক পরে বেরিয়ে যায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঐদিন সকালে কাজের জন্য গৃহকর্তা আজিজুল ইসলাম বাসা থেকে বের হন। ফিরে এসে স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন তিনি। মেয়ে নাফিসাকে জীবিত অবস্থায় পেলেও পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় সে। পরে মরদেহ উদ্ধার ও ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণে গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই বারবার স্থান পরিবর্তন করেন গৃহকর্মী আয়েশা। সবশেষ বুধবার ঝালকাঠির নলছিটি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


প্রিন্ট