আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি হ্রাসের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ কার্যকর হচ্ছে না বলে অনেক সমালোচনা আছে, তবে বাস্তবে তা ফল দিচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতেও এসব ব্যবস্থার সুফল পেতে ১০ থেকে ১২ মাস সময় লাগে। আশা করছি, শিগগিরই আমরা এর ইতিবাচক প্রভাব দেখতে পাব।’’
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল লেনদেনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা : প্রেক্ষিত ভ্যাট বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গভর্নর বলেন, রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য কর প্রশাসনের সংস্কার প্রয়োজন, যা সম্পন্ন করতে তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এই সংস্কারের কাজ শুরু করতে পারবে, তবে তা শেষ করা সম্ভব হবে না।
মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিংকে আরও জনপ্রিয় করতে স্মার্টফোনের দাম কমানো জরুরি, উল্লেখ করেন গভর্নর। তিনি বলেন, ‘‘এই খাতের প্রসার হলে ডিজিটাল লেনদেন বাড়বে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।’’
কর প্রশাসন ও করনীতি আলাদা করার উদ্যোগকে ইতিবাচক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘এটি বাস্তবায়ন হলে সারা বছর কর নীতির উন্নয়নে কাজ করা সম্ভব হবে।’’ তিনি আরও বলেন, রাজস্ব ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে অনলাইনে কর ও শুল্ক প্রদানের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। এটি না করা গেলে দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব হবে না। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ডিজিটাল লেনদেনের সম্প্রসারণ ও কর ব্যবস্থার সংস্কারই রাজস্ব বৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি, বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।