গত এক বছরে দেশে মোট ২৫৮টি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরার বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, শ্রমিকদের আন্দোলন ও নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে শিল্পখাত ইতিমধ্যে চাপের মুখে পড়েছে। এর পাশাপাশি, ২০ জন শ্রমিকের সমন্বয়ে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘গত বছরের আগস্ট থেকে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অনেক কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এখন উদ্যোক্তারা পুনরায় ফিরে আসার চেষ্টা করছেন, কিন্তু নতুন সিদ্ধান্তগুলো আবারও সংকট বাড়িয়ে তুলবে।’ এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যথাযথ প্রস্তুতি না নিয়ে যদি আগামী বছর এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হয়, তাহলে দেশ পিছিয়ে পড়বে। এতে বিনিয়োগ কমবে, রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫ কার্যকর হলে বিদেশি বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং শিল্পখাতে অস্থিরতা বাড়বে। চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বন্দরটির সক্ষমতা বাড়ানো না করে একসঙ্গে ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এতে রপ্তানি বাণিজ্য বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।’ এ সময় তিনি প্রশাসনিক জটিলতা, ব্যয়বৃদ্ধি ও তহবিল ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও সার্বজনীন পেনশন স্কিমের কার্যকারিতা নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘শিল্পবান্ধব নীতি গ্রহণের আগে অবশ্যই ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। দেশের উদ্যোক্তাদের সময় না দিয়ে বিদেশিদের সুবিধা দিলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।’