, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

এসএমই খাতকে জাতীয় অর্থনীতির চালিকাশক্তিতে রূপান্তরের উদ্যোগ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

ছোট ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতকে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিতে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে একের পর এক চারটি বৈঠক করেছে বিনিয়োগ সমন্বয় কমিটি। এই সভাগুলিতে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা। সভাগুলিতে এসএমই খাতকে অর্থনীতির মূল ধারায় যুক্ত করার জন্য নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় উদ্যোক্তাদের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিতের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে কার্যকর হওয়া সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. বিদেশী অর্ডার থেকে প্রাপ্ত অর্থের ১০ শতাংশ বাধ্যতামূলকভাবে ব্যাংকে জমা রাখার বিধানটি থেকে মুক্তির উদ্যোগ।
২. ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে বছরে ন্যূনতম তিন হাজার মার্কিন ডলারের পৃথক বৈদেশিক মুদ্রা কোটা বরাদ্দের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে, ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠকে আরও চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়:

১. নতুন আর্থিক পণ্য ডিজাইন: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ যৌথভাবে এক কর্মশালা আয়োজন করে, যেখানে চলতি মূলধন বা উদ্যোক্তা বান্ধব আর্থিক পণ্য তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
২. নীতিমালার কার্যকারিতা মূল্যায়ন: এ বিভাগের জারি করা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মাস্টার সার্কুলারের কার্যক্ষমতা পারফরম্যান্স মূল্যায়নের মাধ্যমে দেখা হবে।
৩. বাণিজ্য লাইসেন্সবিহীন ঋণের সম্ভাবনা: লাইসেন্স ছাড়া পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া সম্ভব কি না, তা যাচাই করতে একটি সমীক্ষা চালানো হবে।
৪. সুদের হার পুনর্বিবেচনা: ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পকে আরও আকর্ষণীয় করতে গ্রাহকদের জন্য সুদের হার সমন্বয়ের বিষয়ে মতামত নেওয়া হবে।

এর আগে, ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এসএমই খাতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ—যেমন অর্থপ্রদান বিলম্ব, শুল্ক, লাইসেন্স ও ঋণ—সংক্রান্ত আলোচনা হয়। এরপর, ২১ সেপ্টেম্বর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ এবং প্রস্তাব শোনা হয়। এই প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিভিন্ন সুপারিশ তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কাছে পাঠানো হয়।

অতঃপর, ৮ অক্টোবর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের নিয়ে অনলাইন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকের মাধ্যমে বাস্তবায়িত সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. নমুনা ছাড় প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরদারি বাড়ানো।
২. ডিজিটাল মানিব্যাগের মাধ্যমে অর্থপ্রাপ্তিতে উদ্যোক্তাদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধা চালুর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় পরিবর্তন আনা।
৩. অনলাইন বিক্রির অর্থ দ্রুত উদ্যোক্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে এসএসএল কমার্স ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা।
৪. অনলাইন বাজারের মাধ্যমে রপ্তানিতে বিদ্যমান নীতিমালায় ব্যবসা থেকে ব্যবসা (বি-টু-বি) ও ব্যবসা থেকে গ্রাহক (বি-টু-সি) মডেল অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ।
৫. ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণীত নীতিমালা প্রচারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সচেতনতামূলক কার্যক্রম।
৬. উদ্যোক্তাদের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশেষ বৈদেশিক মুদ্রা বা অনুমোদন কার্ড চালু করার প্রস্তাব।
৭. আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও গ্রাহকদের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশে বাংলাদেশ বৈদেশিক বাণিজ্য ইনস্টিটিউটের উদ্যোগ।
৮. রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বিদেশে অবস্থিত দূতাবাসের মাধ্যমে মানসম্মত কার্যবিধি (এসওপি) বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের সমন্বয়।
৯. কৃষি ও জৈব পণ্য সনদ ইস্যুর সমস্যা সমাধানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মধ্যে আলোচনা।
১০. ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড়া আগাম অর্থপ্রদান সীমা ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার মার্কিন ডলার নির্ধারণ, এবং বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ (ইআরকিউ) হিসাব থেকে পরিশোধের সীমা ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। (সূত্র: বৈদেশিক বিনিময় পরিপত্র নং ৩৫, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
১১. স্থানীয় বীমা কোম্পানির কভারেজসহ উন্মুক্ত হিসাবের মাধ্যমে রপ্তানি লেনদেনের অনুমোদন। (সূত্র: বৈদেশিক বিনিময় পরিপত্র নং ৩৯, ৫ অক্টোবর ২০২৫)
১২. ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক অর্থপ্রদানের পদ্ধতি সহজ করতে একটি প্রবাহচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের উদ্যোগ।

২৮ আগস্টের সভায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় যে, এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে এখন থেকে আট অঙ্কের মধ্যে প্রথম চার অঙ্ক মিললেই শুল্ক মূল্যায়ন সম্পন্ন হবে। এই বিষয়ে, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘সংস্কারের মূল লক্ষ্য হলো অর্থনীতিতে গতি আনা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে, যদিও তাদের কণ্ঠ বড় ব্যবসার মতো জোরালো নয়। আমাদের অবশ্যই এসব উদ্যোক্তাদের গতি বাড়াতে সহায়তা করতে হবে এবং তাদের ব্যবসার সব পর্যায়ে সহজতা আনতে হবে—অর্থায়ন থেকে সরবরাহব্যবস্থা পর্যন্ত। সরকারের উচিত এর সহায়ক হওয়া, বাধা নয়।’


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

এসএমই খাতকে জাতীয় অর্থনীতির চালিকাশক্তিতে রূপান্তরের উদ্যোগ

আপডেট সময় ০৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

ছোট ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতকে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিতে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে একের পর এক চারটি বৈঠক করেছে বিনিয়োগ সমন্বয় কমিটি। এই সভাগুলিতে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা। সভাগুলিতে এসএমই খাতকে অর্থনীতির মূল ধারায় যুক্ত করার জন্য নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় উদ্যোক্তাদের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিতের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে কার্যকর হওয়া সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. বিদেশী অর্ডার থেকে প্রাপ্ত অর্থের ১০ শতাংশ বাধ্যতামূলকভাবে ব্যাংকে জমা রাখার বিধানটি থেকে মুক্তির উদ্যোগ।
২. ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে বছরে ন্যূনতম তিন হাজার মার্কিন ডলারের পৃথক বৈদেশিক মুদ্রা কোটা বরাদ্দের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে, ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠকে আরও চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়:

১. নতুন আর্থিক পণ্য ডিজাইন: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ যৌথভাবে এক কর্মশালা আয়োজন করে, যেখানে চলতি মূলধন বা উদ্যোক্তা বান্ধব আর্থিক পণ্য তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
২. নীতিমালার কার্যকারিতা মূল্যায়ন: এ বিভাগের জারি করা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মাস্টার সার্কুলারের কার্যক্ষমতা পারফরম্যান্স মূল্যায়নের মাধ্যমে দেখা হবে।
৩. বাণিজ্য লাইসেন্সবিহীন ঋণের সম্ভাবনা: লাইসেন্স ছাড়া পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া সম্ভব কি না, তা যাচাই করতে একটি সমীক্ষা চালানো হবে।
৪. সুদের হার পুনর্বিবেচনা: ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পকে আরও আকর্ষণীয় করতে গ্রাহকদের জন্য সুদের হার সমন্বয়ের বিষয়ে মতামত নেওয়া হবে।

এর আগে, ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এসএমই খাতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ—যেমন অর্থপ্রদান বিলম্ব, শুল্ক, লাইসেন্স ও ঋণ—সংক্রান্ত আলোচনা হয়। এরপর, ২১ সেপ্টেম্বর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ এবং প্রস্তাব শোনা হয়। এই প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিভিন্ন সুপারিশ তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কাছে পাঠানো হয়।

অতঃপর, ৮ অক্টোবর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের নিয়ে অনলাইন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকের মাধ্যমে বাস্তবায়িত সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. নমুনা ছাড় প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরদারি বাড়ানো।
২. ডিজিটাল মানিব্যাগের মাধ্যমে অর্থপ্রাপ্তিতে উদ্যোক্তাদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধা চালুর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় পরিবর্তন আনা।
৩. অনলাইন বিক্রির অর্থ দ্রুত উদ্যোক্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে এসএসএল কমার্স ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা।
৪. অনলাইন বাজারের মাধ্যমে রপ্তানিতে বিদ্যমান নীতিমালায় ব্যবসা থেকে ব্যবসা (বি-টু-বি) ও ব্যবসা থেকে গ্রাহক (বি-টু-সি) মডেল অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ।
৫. ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণীত নীতিমালা প্রচারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সচেতনতামূলক কার্যক্রম।
৬. উদ্যোক্তাদের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশেষ বৈদেশিক মুদ্রা বা অনুমোদন কার্ড চালু করার প্রস্তাব।
৭. আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও গ্রাহকদের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশে বাংলাদেশ বৈদেশিক বাণিজ্য ইনস্টিটিউটের উদ্যোগ।
৮. রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বিদেশে অবস্থিত দূতাবাসের মাধ্যমে মানসম্মত কার্যবিধি (এসওপি) বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের সমন্বয়।
৯. কৃষি ও জৈব পণ্য সনদ ইস্যুর সমস্যা সমাধানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মধ্যে আলোচনা।
১০. ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড়া আগাম অর্থপ্রদান সীমা ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার মার্কিন ডলার নির্ধারণ, এবং বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ (ইআরকিউ) হিসাব থেকে পরিশোধের সীমা ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। (সূত্র: বৈদেশিক বিনিময় পরিপত্র নং ৩৫, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
১১. স্থানীয় বীমা কোম্পানির কভারেজসহ উন্মুক্ত হিসাবের মাধ্যমে রপ্তানি লেনদেনের অনুমোদন। (সূত্র: বৈদেশিক বিনিময় পরিপত্র নং ৩৯, ৫ অক্টোবর ২০২৫)
১২. ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক অর্থপ্রদানের পদ্ধতি সহজ করতে একটি প্রবাহচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের উদ্যোগ।

২৮ আগস্টের সভায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় যে, এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে এখন থেকে আট অঙ্কের মধ্যে প্রথম চার অঙ্ক মিললেই শুল্ক মূল্যায়ন সম্পন্ন হবে। এই বিষয়ে, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘সংস্কারের মূল লক্ষ্য হলো অর্থনীতিতে গতি আনা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে, যদিও তাদের কণ্ঠ বড় ব্যবসার মতো জোরালো নয়। আমাদের অবশ্যই এসব উদ্যোক্তাদের গতি বাড়াতে সহায়তা করতে হবে এবং তাদের ব্যবসার সব পর্যায়ে সহজতা আনতে হবে—অর্থায়ন থেকে সরবরাহব্যবস্থা পর্যন্ত। সরকারের উচিত এর সহায়ক হওয়া, বাধা নয়।’


প্রিন্ট