দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সর্বশেষ সমন্বয়কৃত দামে দেশের বাজারে এই মূল্যবান ধাতুটি বিক্রি হচ্ছে। গত ১ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। সেদিন ভরিতে ১৬৮০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। তার ভিত্তিতে, দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকায়। তদ্ব্যতীত, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ প্রতি ভরি ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮১ টাকা এবং ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বর্ণ বিক্রির মূল্য সংক্রান্তে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুসের নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন এবং মান অনুযায়ী মজুরির পার্থক্য হতে পারে। এর আগে, ৩০ অক্টোবর বাজুস দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল। তখন ভরিতে ২৬১৩ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে ২ লাখ ৯৬ টাকা। পাশাপাশি, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। যা ৩১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়। এ বছর মোট ৭৩ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ বার, কমেছে মাত্র ২৩ বার। ২০২৪ সালে মোট ৬২ বার দাম সমন্বয় করা হয়, যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়, আর ২৭ বার কমানো হয়। স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি সত্ত্বেও, দেশের বাজারে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে পূর্ব নির্ধারিত ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। তদ্ব্যতীত, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতিতে ২ হাজার ৬০১ টাকায় বিক্রি হয়। এ বছর মোট ৯ বার রুপার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। গত বছর এই দাম সমন্বয় করা হয় ৩ বার।