মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা জোরদার হওয়ায় এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্থরতা আশঙ্কায় সোমবার স্বর্ণের মূল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ (১০ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট স্বর্ণের দাম বেড়ে প্রতি আউন্সে পৌঁছেছে ৪ হাজার ৭০ দশমিক ৯৯ ডলার, যা ২৭ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। কেএসএম ট্রেডের প্রধান বিশ্লেষক টিম ওয়াটারার বলেন, ‘সপ্তাহের শুরুতেই স্বর্ণের বাজারে শক্তিশালী ক্রয়চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যদিও ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা অস্বীকার করলেও ব্যবসায়ীরা এখনও ডিসেম্বর মাসে হার কমার প্রত্যাশা করছেন।’ সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান কমেছে, বিশেষ করে সরকারি ও খুচরা খাতে। পাশাপাশি খরচ কমানো এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রসারে চাকরি হ্রাসের প্রবণতা দেখা গেছে। অন্য এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি সরকারি শাটডাউন এর প্রভাবে ভোক্তা বিশ্বাস কমে প্রায় এক দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। সিএমই ফেডওয়াচ টুল অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমার সম্ভাবনা এখন ৬৭ শতাংশ। সাধারণত সুদের হার কমলে ফলনবিহীন সম্পদ হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি, চলতি ৪০ দিন ধরে চলা সরকারি অচলাবস্থা (শাটডাউন) শেষ করতে মার্কিন সিনেটে একটি প্রস্তাব এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বন্ধ, খাদ্য সহায়তা বিলম্ব ও বিমান চলাচলে জটিলতা সৃষ্টি হয়। টিম ওয়াটারার বলেন, ‘শাটডাউন শেষের দিকে হলেও এখন অর্থনৈতিক সূচকগুলো স্পষ্ট হবে, যা বাজারের জন্য দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।’ বিশ্বের বৃহত্তম স্বর্ণ ভিত্তিক এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্ট জানিয়েছে, শুক্রবার তাদের মজুত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪২ দশমিক ০৬ মেট্রিক টন, যা একদিন আগে ছিল ১ হাজার ৪০ দশমিক ৩৫ টন। অন্যদিকে, রুপার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্সে ৪৯ দশমিক ৫২ ডলার, প্লাটিনামের দাম বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫৬৫ দশমিক ২২ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম বেড়ে পৌঁছেছে ১ হাজার ৩৯৬ দশমিক ৩৭ ডলার।