দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সর্বশেষ করে বাড়ানো হয়েছে। নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সবশেষ সমন্বিত দামে দেশের বাজারে এই মূল্যবান ধাতু বিক্রি চলছে। গত ১১ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি করেছে। সেই দিন ভরিতে ৪ হাজার ১৮৮ টাকা যোগ করা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে। নির্ধারিত দামের ভিত্তিতে, দেশের বাজারে ১১.৬৬৪ গ্রাম (এক ভরি) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ ৮ হাজার ৪৭১ টাকায়। এছাড়াও ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৬৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের প্রতি ভরি মূল্য ১ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, এই বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানিয়েছে, স্বর্ণ বিক্রির মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুসের নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মান অনুযায়ী মজুরি পার্থক্য হতে পারে। এর আগে, সর্বশেষ ১০ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেই দিন ভরিতে ২ হাজার ৫০৭ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকায়। অন্য ক্যাটেগরিতে, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৪৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৪২ টাকায় নির্ধারিত হয়েছিল। এই সমন্বয় কার্যকর হয় ১১ নভেম্বর থেকে। এই বছর মোট ৭৫ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে, যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫২ বার এবং কমানো হয়েছে ২৩ বার। অন্যদিকে, ২০২৪ সালে মোট ৬২ বার এই সমন্বয় করা হয়েছে, যার মধ্যে দাম বাড়ানো হয় ৩৫ বার এবং কমানো হয় ২৭ বার।

তবে, স্বর্ণের দাম বাড়লেও দেশের বাজারে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। অন্য ক্যাটেগরিতে, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা প্রতি ভরি ২ হাজার ৬০১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত রুপার দাম মোট ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে, এর মধ্যে বাড়ানো হয়েছে ৬ বার এবং কমানো হয়েছে ৩ বার। গত বছর এই সমন্বয় হয়েছিল ৩ বার।