দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সর্বশেষ পাঁচ দফা দাম সমন্বয়ের মাধ্যমে তিনবার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সর্বশেষ দুটি দফায় মোট ৬১১১ টাকা কমানো হয়েছে। সম্প্রতি মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দ্বিতীয় দফায় স্বর্ণের দাম হ্রাস করেছে। এ বার ভরিতে ১৩৬৪ টাকা মূল্য কমেছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। নতুন দামের কার্যকর হবে বুধবার (১৯ নভেম্বর) থেকে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের মূল্য হবে ২ লক্ষ ৬ হাজার ৯০৮ টাকা। পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১৯৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১৬৯ হাজার ২৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১৪০ হাজার ৭৬১ টাকা। এ ছাড়া, বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকারের নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুসের নির্ধারিত নূন্যতম মজুরি ৬ শতাংশ যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানের ভিন্নতার জন্য মজুরির পরিমাণে পার্থক্য থাকতে পারে। এর আগে, গত ১৫ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেই সময় ভরিতে ৫৪৪৭ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছিল ২ লাখ ৮ হাজার ২৭২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১৯৮ হাজার ৮০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১৭০ হাজার ৩৯৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ছিল ১৪১ হাজার ৭১৮ টাকা। যা কার্যকর হয়েছিল ১৬ নভেম্বর থেকে। এ বছর মোট ৭৮ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় হয়েছে, যেখানে দাম বৃদ্ধির সংখ্যা ৫৩ বার এবং হ্রাসের সংখ্যা মাত্র ২৫ বার। ২০২৪ সালে এই বছর মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছে এবং ২৭ বার কমানো হয়েছে।

স্বর্ণের দাম হ্রাস পেলেও দেশের বাজারে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪০৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হয় ২ হাজার ৬০১ টাকায়। চলতি বছর এখন পর্যন্ত রুপার দাম সমন্বয় করা হয়েছে ৯ বার, এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার এবং কমেছে ৩ বার। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৩ বার।