দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম শেষ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) সবশেষ সমন্বিত দামের ভিত্তিতে দেশের বাজারে এই মূল্যবান ধাতুটি বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) গত ২০ নভেম্বর রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম কমিয়েছে। সংগঠনটি এবার ভরিতে ১ হাজার ৩৫৩ টাকা হ্রাস করেছে। নতুন দামে, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ টাকায়। এ ছাড়াও, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি দাম ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকা এবং ঐতিহ্যগত পদ্ধতিতে বিক্রি হওয়া স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৮ টাকায় পৌঁছেছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকারের নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুসের নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানের ভিত্তিতে মজুরির পরিমাণে পার্থক্য থাকতে পারে। এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। ওইদিন ভরিতে ২ হাজার ৬১২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা। এছাড়াও, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি দাম ছিল ২ লাখ ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতিতে বিক্রি হওয়া স্বর্ণের দাম ছিল ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকা। এই দাম ২০ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। এ বছর মোট ৮০ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে দেশের বাজারে। এর মধ্যে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৪ বার, আর কমানো হয়েছে মাত্র ২৬ বার। ২০২৪ সালে দেশজুড়ে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়, যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছিল ৩৫ বার এবং কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

স্বর্ণের দাম কমলেও দেশের বাজারে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। এছাড়াও, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা, এবং সনাতন পদ্ধতিতে বিক্রি হওয়া রুপার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকায়। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ বার রুপার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর মধ্যে বাড়ানো হয়েছে ৬ বার, আর কমানো হয়েছে মাত্র ৩ বার। গত বছর এই দাম সমন্বয় হয়েছিল ৩ বার।