কনটেন্ট ক্রিয়েটর নাহিদ রিয়াসাদ মারা গেছেন
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৬ বাংলাদেশির মরদেহ আসছে ২০ ডিসেম্বর
জামায়াত প্রার্থীর বক্তব্য প্রত্যাহারসহ ক্ষমা চাইতে বললেন এ্যানি চৌধুরী
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হলেন শামছুল ইসলাম
হান্নান মাসউদের ৩ সমর্থককে কুপিয়ে জখম
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ছেঁড়া-ফাটা নোট নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
সচিবালয়ের ১৪ কর্মচারী বরখাস্ত
তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপির কমিটি
ছেঁড়া-ফাটা নোট নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
- আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে
- / ৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংক ছেঁড়া, পোড়া বা বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নোটের বিনিময় মূল্য ফেরত দেওয়ার জন্য নতুন নীতিমালা জারি করেছে। এই নীতিমালার আওতায় এখন থেকে গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত নোটের বিপরীতে নির্ধারিত হারে অর্থ ফেরত পেতে পারবেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার প্রকাশ করে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে। এই সার্কুলারে জানানো হয়েছে, নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। নতুন নীতিমালার অনুযায়ী, কোনো নোটের ৯০ শতাংশের বেশি অংশ অবশিষ্ট থাকলে, সেই নোটের বিপরীতে গ্রাহক পুরো মূল্য ফেরত পাবেন। এই সার্কুলারের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট প্রত্যর্পণ প্রবিধান ২০২৫’ কার্যকর করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট রিফান্ড রেগুলেশনস ২০১২’। আগে ছেঁড়া ও পোড়া নোট বদলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বিধান না থাকলেও এখন থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কত অংশ থাকলে কত টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। সূত্র জানায়, বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত, নষ্ট বা পোড়া প্রচলিত নোট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা অফিস ও বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে বদল করে নেওয়া যায়। প্রতিটি ব্যাংক শাখায় ছেঁড়া নোট বদলের সুবিধা থাকলেও সব নোটের পুরো মূল্য পাওয়া সম্ভব নয়। কেবল যেসব নোটের ৯০ শতাংশের বেশি অংশ অক্ষত থাকে, সেই নোটের বিপরীতে সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত দেওয়া হবে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত তাৎক্ষণিকভাবে নোট বদল হয়। অন্য ছেঁড়া-ফাটা নোটও নিয়ম অনুযায়ী তাৎক্ষণিক বদল করা হয়। সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো নোট দুই খণ্ডে বিভক্ত হয়, তবে খণ্ড দুটি সন্দেহাতীতভাবে একই নোটের অংশ হতে হবে। এই ক্ষেত্রে, জমা দেওয়ার সময় নোটের বিচ্ছিন্ন দুই খণ্ডের উল্টো পিঠে সরু সাদা কাগজ দিয়ে জোড়া লাগাতে হবে, যাতে আসল নোট শনাক্তে কোনো অসুবিধা না হয়। একইভাবে, যে সব জীর্ণ নোট পরীক্ষার সময় ছিঁড়ে যেতে পারে, তার উল্টো পিঠেও হালকা সাদা কাগজ সংযুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত নোটের বিনিময় মূল্য পেতে যদি কোনো ব্যাংক শাখায় সমস্যা হয়, তবে গ্রাহক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে আবেদন করতে পারবেন। ব্যাংক শাখা বিষয়টি সমাধান করতে ব্যর্থ হলে আবেদনটি প্রধান কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। সেখানে থেকেও সমাধান না হলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হবে। এই ক্ষেত্রে, আবেদনপত্র পাওয়ার আট সপ্তাহের মধ্যে নোটের মূল্য প্রদানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এবং মূল্য অনুমোদিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে অর্থ সমন্বয় করা হবে। সুষ্ঠু নগদ লেনদেন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশ দিয়েছে, ছেঁড়া, ক্ষতিগ্রস্ত, ত্রুটিপূর্ণ বা ময়লার মতো নোটের বিনিময় মূল্য প্রদান ও দাবিযোগ্য নোটের সেবা নিয়মিতভাবে চালু রাখতে। এ ধরনের সেবা প্রদানে কোনো ব্যাংক শাখা অনীহা দেখালে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
প্রিন্ট


























