, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে তথ্য পাঠাল পুলিশ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১৩ ঘন্টা আগে
  • / ৪ বার পড়া হয়েছে

চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পরে তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন জানানো হয়েছে। আসামিদের দেশত্যাগ রোধে পুলিশের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশন দপ্তরে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওসি গোলাম ফারুক জানান, আদালতের নির্দেশে সালমান শাহর হত্যার মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এই মামলায় ১১ জনকে এজাহারে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মামলার পর থেকে তদন্তের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আসামিদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো দেশের বাইরে অবস্থান করছে। দেশের ভিতরে থাকা আসামিদের সনাক্ত করতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইল ট্র্যাকিংসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাতে করে তারা দেশ ত্যাগ করতে না পারে, সেই জন্য তাদের নামসহ অন্যান্য তথ্য ইমিগ্রেশন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ওসি গোলাম ফারুক বলেন, মামলার তদন্তে কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে না। দ্রুতই আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। জানা গেছে, ২১ অক্টোবর মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী ছিলেন তার মামা আলমগীর কুমকুম। এজাহারে সালমান শাহর স্ত্রীর নাম সামিরা হক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডনসহ আরও কিছু ব্যক্তির নামও উল্লেখ হয়েছে। মোট ১১ জনকে এজাহারে আসামি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকেও সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর দীর্ঘ তদন্তের পর ৩ দশক ধরে এ বিষয়টি অপমৃত্যু মামলার রূপে চলতে থাকে। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেন। তবে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী শুরু থেকেই এই প্রতিবেদনের বিরোধিতা করেন এবং দাবি করেন, তার ছেলে হত্যা করা হয়েছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে তথ্য পাঠাল পুলিশ

আপডেট সময় ১৩ ঘন্টা আগে

চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পরে তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন জানানো হয়েছে। আসামিদের দেশত্যাগ রোধে পুলিশের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশন দপ্তরে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওসি গোলাম ফারুক জানান, আদালতের নির্দেশে সালমান শাহর হত্যার মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এই মামলায় ১১ জনকে এজাহারে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মামলার পর থেকে তদন্তের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আসামিদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো দেশের বাইরে অবস্থান করছে। দেশের ভিতরে থাকা আসামিদের সনাক্ত করতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইল ট্র্যাকিংসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাতে করে তারা দেশ ত্যাগ করতে না পারে, সেই জন্য তাদের নামসহ অন্যান্য তথ্য ইমিগ্রেশন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ওসি গোলাম ফারুক বলেন, মামলার তদন্তে কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে না। দ্রুতই আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। জানা গেছে, ২১ অক্টোবর মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী ছিলেন তার মামা আলমগীর কুমকুম। এজাহারে সালমান শাহর স্ত্রীর নাম সামিরা হক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডনসহ আরও কিছু ব্যক্তির নামও উল্লেখ হয়েছে। মোট ১১ জনকে এজাহারে আসামি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকেও সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর দীর্ঘ তদন্তের পর ৩ দশক ধরে এ বিষয়টি অপমৃত্যু মামলার রূপে চলতে থাকে। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেন। তবে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী শুরু থেকেই এই প্রতিবেদনের বিরোধিতা করেন এবং দাবি করেন, তার ছেলে হত্যা করা হয়েছে।


প্রিন্ট