নব্বই দশকের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান শাহ। সময়ের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে ছিলেন তিনি। তার জন্য মানুষের আগ্রহ ও উত্তেজনা কমার কোনও কারণে নেই। মৃত্যুর পর ২৯ বছর পেরিয়ে গেলেও, এক নতুন হত্যা মামলার কারণে আবার আলোচনায় আসেন তিনি। শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেন সেই সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। শাবনূর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, ২৯ বছর আগে কিংবদন্তি অভিনেতা সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনার পর আদালতের নির্দেশে ২১ অক্টোবর রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। আমি তখন বিদেশে থাকায় সংবাদ মাধ্যমে এই খবর জানতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, অনেকেরই এই বিষয়ে আমার মন্তব্যের প্রয়োজন হচ্ছে। তবে, যেহেতু বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন, তাই প্রথমে আমি কথা বলতে চাচ্ছি না। তবে দুঃখের বিষয়, কিছু অসৎ ব্যক্তি সালমান শাহ সংক্রান্ত এই মামলার সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ভ্রান্ত প্রচার চালাচ্ছেন। আমি এই ভিত্তিহীন গুজব ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সবাইকে অনুরোধ করছি, সত্যতা অস্বীকার করে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। এই অভিনেত্রী আরও বলেন, সালমান শাহ ছিল আমার অত্যন্ত প্রিয় সহকর্মী। আমরা একসঙ্গে প্রায় ১৪টি সিনেমায় কাজ করেছি। সালমান ছিলেন এক অসাধারণ, শক্তিশালী ও প্রতিভাবান অভিনেতা। আমি নিশ্চিত বলতে পারি, তার সাথে কাজ করে আমার ক্যারিয়ার বিকশিত ও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। শাবনূর উল্লেখ করেন, সালমান শাহর অকাল মৃত্যুতে আমি ব্যক্তিগতভাবে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমাদের জুটির সাফল্য অনেকেরই ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তার মৃত্যুর পরে কেউ কেউ, হয়তো নিজেদের বাঁচাতে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার এবং সালমানের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। আমাদের নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে, যা আমাকে মানসিকভাবে খুবই আঘাত করেছে। তবে আজও আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই — সালমান শাহ কিভাবে মারা গেছেন, আমি সত্যিই জানি না। আমি শুধু তার মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার আশা করি। দোষী কেউ থাকলে তাকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হোক — এটি আমার একান্ত প্রত্যাশা। এই অভিনেত্রী আরও বলেন, সন্তান হারানোর বেদনা কতটা কষ্টের, তা সালমানের মা নীলা আন্টির আহাজারি দেখলে বোঝা যায়। আমি আন্টি ও তার পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি এবং সর্বোপরি, সালমান শাহর আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করি।