, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

২৩-এ দেখা, ২৪–এ প্রেম, ২৫-এ বিয়ে করলেন অভিনেত্রী

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে স্বজন মাঝি ও তাহুয়া লাভিবের পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকেই ধীরে ধীরে মন দেওয়া–নেওয়া শুরু হয়। এরপর এক সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বিয়ে করে নেওয়া যায়। কিন্তু কবে সেই বিয়ের তারিখ হবে, এ নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা হলেও ঠিক হয় না। অবশেষে হঠাৎ করেই ২৬ অক্টোবর এই জুটি বিয়ে করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিনেত্রী তাহুয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাদের এক সাধারণ বন্ধু ছিল। তবে পরিচয়টা খুব গভীর ছিল না। এর মধ্যে একদিন স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পান। সিনেমাটির নাম ‘প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান’। এটি সৈয়দ শামসুল হকের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত। পরিচালনায় স্বজন মাঝি। এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু হয় ২০২৩ সালে। পরের বছর সেটি সম্পন্ন হয়। তাহুয়া বলেন, ‘আমাদের প্রথম দেখা ২৩ সালে, প্রেম ২৪ সালে শুরু, আর ২৫ সালে হঠাৎ করেই বিয়ে (হাসি)। ছবি করতে গিয়েই প্রেম, শেষ হওয়ার আগে বিয়ে।’ তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘কারণ, এই বছর কয়েক দিন আগে সিনেমার সব কাজ শেষ হয়। মন্ত্রণালয়ে স্ক্রিনিং হয় সিনেমাটির। সব কাজ শেষের পরই আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। বিয়েতে দুই পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।’ কেন মনে হলো বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত? এই প্রশ্নে তাহুয়া বলেন, ‘প্রথমে শুটিংয়ের সময় আমাদের মধ্যে খুব বেশি কথা হত না। শুটিংয়ে বেশ ব্যস্ত থাকতে হতো। আমাদের কাজের ধরণ ছিল বড়। পরে স্বজন মাঝি আমাকে জানায়, শুটিংয়ের বাইরেও কথা বলার সময় হবে। একদিন দেখা করে আলোচনা করি। তারপর দেখা হয়। অনেক বিষয়েই আমরা এক মত হয়েছি। রাজনীতি, আদর্শ, সিনেমা—সব বিষয়েই আমাদের মধ্যে গভীর আলোচনা চলত। এভাবেই আমাদের ভালো লাগা শুরু হয়।’ এই সময় তাহুয়া আরও বলেন, ‘ওর (স্বজন মাঝি) সঙ্গে প্রেমের পর সে আমাকে নানা দিক থেকে অনুপ্রাণিত করে। সে খুব কেয়ারিং। আমার তৃতীয় বর্ষের সময় পরিচয় হয়। তৃতীয় বর্ষ থেকে আমার ফলাফলে উন্নতি হয়। সে সব সময় আমার পাশে থাকত। জীবনসঙ্গী হিসেবে এই মানুষকেই পছন্দ করেছি।’ স্বজন মাঝি জানান, তাঁর ‘প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান’ সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের সময় তিনি অভিনেতা-অভিনেত্রী খুঁজছিলেন। তখন এক সদস্য তাঁর কাছে বোষ্টমী চরিত্রের জন্য তাহুয়ার কথা বলেন। পরে দেখা যায়, তারা ফেসবুকে বন্ধু ছিল। ‘তুরা (তাহুয়া) অনেক বন্ধু রয়েছে আমাদের মধ্যে। তার কিছু ছবি ও অভিনয়ের দৃশ্য দেখে মনে হলো, তাকে বোষ্টমী চরিত্রে নেওয়া যায়। তাই কাস্টিং করি।’ এরপর শুরু হয় শুটিং। সেই সময়ের অভিজ্ঞতা স্বজনের কাছে বেশ মজার। তিনি বলেন, ‘শুটিংয়ে খুব ব্যস্ত থাকায় তুরার সঙ্গে বেশ কথা হত না। একদিন দেখা করে অনেক আড্ডা হয়। তার অভিনীত মঞ্চনাটক দেখলাম। সব মিলিয়ে একটা ভালো লাগা তৈরি হয়। আমরা একে অন্যকে বুঝতে পারি। দুই বছর ধরে আমরা একে অন্যকে জানার, বোঝার চেষ্টা করেছি। এরপর হঠাৎ করেই কিছুদিন আগে আমাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়।’ স্বজন মাঝি আগে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ভবিষ্যতে সিনেমা নির্মাণে আগ্রহী তিনি। অন্যদিকে তাহুয়া ক্যারিয়ার শুরু করেন ‘গাঙকুমারী’ সিনেমার নায়িকা হিসেবে। তার পর তিনি ‘বিল ডাকিনী’ সিনেমার নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন। দুটো ছবিতেই মোশাররফ করিমের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। ‘দাঁড়কাক’সহ আরও বেশ কিছু সিনেমায় তাকে দেখা গেছে। ভবিষ্যতে তিনি অভিনয় ও পরিচালনায় নিজেকে নিবেদিত রাখতে চান।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

২৩-এ দেখা, ২৪–এ প্রেম, ২৫-এ বিয়ে করলেন অভিনেত্রী

আপডেট সময় ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে স্বজন মাঝি ও তাহুয়া লাভিবের পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকেই ধীরে ধীরে মন দেওয়া–নেওয়া শুরু হয়। এরপর এক সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বিয়ে করে নেওয়া যায়। কিন্তু কবে সেই বিয়ের তারিখ হবে, এ নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা হলেও ঠিক হয় না। অবশেষে হঠাৎ করেই ২৬ অক্টোবর এই জুটি বিয়ে করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিনেত্রী তাহুয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাদের এক সাধারণ বন্ধু ছিল। তবে পরিচয়টা খুব গভীর ছিল না। এর মধ্যে একদিন স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পান। সিনেমাটির নাম ‘প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান’। এটি সৈয়দ শামসুল হকের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত। পরিচালনায় স্বজন মাঝি। এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু হয় ২০২৩ সালে। পরের বছর সেটি সম্পন্ন হয়। তাহুয়া বলেন, ‘আমাদের প্রথম দেখা ২৩ সালে, প্রেম ২৪ সালে শুরু, আর ২৫ সালে হঠাৎ করেই বিয়ে (হাসি)। ছবি করতে গিয়েই প্রেম, শেষ হওয়ার আগে বিয়ে।’ তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘কারণ, এই বছর কয়েক দিন আগে সিনেমার সব কাজ শেষ হয়। মন্ত্রণালয়ে স্ক্রিনিং হয় সিনেমাটির। সব কাজ শেষের পরই আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। বিয়েতে দুই পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।’ কেন মনে হলো বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত? এই প্রশ্নে তাহুয়া বলেন, ‘প্রথমে শুটিংয়ের সময় আমাদের মধ্যে খুব বেশি কথা হত না। শুটিংয়ে বেশ ব্যস্ত থাকতে হতো। আমাদের কাজের ধরণ ছিল বড়। পরে স্বজন মাঝি আমাকে জানায়, শুটিংয়ের বাইরেও কথা বলার সময় হবে। একদিন দেখা করে আলোচনা করি। তারপর দেখা হয়। অনেক বিষয়েই আমরা এক মত হয়েছি। রাজনীতি, আদর্শ, সিনেমা—সব বিষয়েই আমাদের মধ্যে গভীর আলোচনা চলত। এভাবেই আমাদের ভালো লাগা শুরু হয়।’ এই সময় তাহুয়া আরও বলেন, ‘ওর (স্বজন মাঝি) সঙ্গে প্রেমের পর সে আমাকে নানা দিক থেকে অনুপ্রাণিত করে। সে খুব কেয়ারিং। আমার তৃতীয় বর্ষের সময় পরিচয় হয়। তৃতীয় বর্ষ থেকে আমার ফলাফলে উন্নতি হয়। সে সব সময় আমার পাশে থাকত। জীবনসঙ্গী হিসেবে এই মানুষকেই পছন্দ করেছি।’ স্বজন মাঝি জানান, তাঁর ‘প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান’ সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের সময় তিনি অভিনেতা-অভিনেত্রী খুঁজছিলেন। তখন এক সদস্য তাঁর কাছে বোষ্টমী চরিত্রের জন্য তাহুয়ার কথা বলেন। পরে দেখা যায়, তারা ফেসবুকে বন্ধু ছিল। ‘তুরা (তাহুয়া) অনেক বন্ধু রয়েছে আমাদের মধ্যে। তার কিছু ছবি ও অভিনয়ের দৃশ্য দেখে মনে হলো, তাকে বোষ্টমী চরিত্রে নেওয়া যায়। তাই কাস্টিং করি।’ এরপর শুরু হয় শুটিং। সেই সময়ের অভিজ্ঞতা স্বজনের কাছে বেশ মজার। তিনি বলেন, ‘শুটিংয়ে খুব ব্যস্ত থাকায় তুরার সঙ্গে বেশ কথা হত না। একদিন দেখা করে অনেক আড্ডা হয়। তার অভিনীত মঞ্চনাটক দেখলাম। সব মিলিয়ে একটা ভালো লাগা তৈরি হয়। আমরা একে অন্যকে বুঝতে পারি। দুই বছর ধরে আমরা একে অন্যকে জানার, বোঝার চেষ্টা করেছি। এরপর হঠাৎ করেই কিছুদিন আগে আমাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়।’ স্বজন মাঝি আগে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ভবিষ্যতে সিনেমা নির্মাণে আগ্রহী তিনি। অন্যদিকে তাহুয়া ক্যারিয়ার শুরু করেন ‘গাঙকুমারী’ সিনেমার নায়িকা হিসেবে। তার পর তিনি ‘বিল ডাকিনী’ সিনেমার নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন। দুটো ছবিতেই মোশাররফ করিমের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। ‘দাঁড়কাক’সহ আরও বেশ কিছু সিনেমায় তাকে দেখা গেছে। ভবিষ্যতে তিনি অভিনয় ও পরিচালনায় নিজেকে নিবেদিত রাখতে চান।


প্রিন্ট