প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা আলী যাকেরের জন্ম ৬ নভেম্বর। আজ তার জন্মদিন। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন দুনিয়ায়ও ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ—তিনি ছিলেন এশিয়াটিকের মালিক। ১৯৪৪ সালের ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজারে তার জন্ম। নাট্য জগতে তিনি ছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব—মঞ্চে নূরুলদীনের জীবন, দেওয়ান গাজীর কিসসা, কপোনিকের ক্যাপ্টেন ও টেলিভিশনে আজ রবিবার, বহুব্রীহি সহ অসংখ্য জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মনে স্থান করে নিয়েছেন। অন্যদিকে, আলী যাকেরের ছেলে ইরেশ যাকের ১৯৭৬ সালের ৬ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। অভিনয়ের প্রতি তার আগ্রহ শৈশব থেকেই ছিল প্রবল। টেলিভিশন নাটকে তার প্রথম অভিনয় জিয়াউল হায়দার কিসলুর বাতাসের খাঁচা নাটকের মাধ্যমে, যেখানে তার সহশিল্পী ছিলেন তার পিতা। এরপর থেকে তিনি টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র—দুটি মাধ্যমেই নিয়মিত অভিনয় করে আসছেন। জীবদ্দশায় আলী যাকের একবার হাস্যরসের ছলে বলেছিলেন, ‘ইরেশের জন্ম হওয়ার কথা ছিল ২২ অক্টোবর; কিন্তু সে ঠিক ১৫ দিন দেরি করে ৬ নভেম্বর রাত ৮টায় জন্ম নেয়। আমার জন্মও একই দিনে রাত ১০টায়—তাই বলতে হয়, ছেলেকে বাবার চেয়ে বড়ই বলা যায়।’
শিল্পকলায় অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক প্রদান করে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদক ও মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন।